বিদেশে থেকেও এমপিওভুক্ত!

শিক্ষা মন্ত্রণালয়নতুন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাওয়া টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আমুয়াবাইদ আজাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার এক শিক্ষক তিন বছর বিদেশে থাকার পরও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠলে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে হাজিদের সেবা দিতে সৌদি আরব যান মাদ্রাসার শিক্ষক হারুনুর রশিদ। তারপর আর দেশে ফেরেননি। ২০১৯ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। এই এমপিওভুক্তির তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ঘটনায় গত ২৮ মে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাবিবুর রহমানসহ আট জন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘাটাইল উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

ঘটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ‘অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম শামসুল হক বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্ত করছি। তবে অভিযোগকারীসহ আট জনই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শিক্ষক ছুটিতে ছিলেন আমি জানতাম না। যখন অভিযোগ উঠেছে তখন প্রতিষ্ঠান থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

আমুয়াবাইদ আজাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট আরিফুল ইসলাম বিদেশে থাকা শিক্ষকের এমপিওভুক্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সাত দিনের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। এরপর এমপিওভুক্তির আগে তিনি ফিরে আসেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ বছর বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে সংসার চালানোর জন্য বিদেশে ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ছিল না। মানবিক কারণে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি মেনে নিয়ে তাকে শিক্ষকতার সুযোগ দিয়েছে। যারা অভিযোগ করেছে তারা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

হাবিবুর রহমানসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের করা অভিযোগে আরও জানা গেছে, মাদ্রাসাটি নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানের একটি। শুধু ওই শিক্ষকই নন, মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট আরিফুল ইসলামও ৪ বছরে মাত্র ১৮ দিন অফিস করেছেন। এছাড়া পরিচালনা কমিটি গঠন, আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, জামায়াতের রাজনীতি করাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগও রয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপারিনটেনডেন্ট আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ মিথ্যা, যিনি অভিযোগ করেছিলেন তার পক্ষে এখন এলাকার কেউই নেই।’