২০২৩ সালের মধ্যে মিল নীতির আওতায় আসবে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

1২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি’র আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সোমবার (২০ জুলাই) রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি’ উদ্বোধন করেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে থাকা কার্যক্রমটি উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই মিল নীতির আওতায় আসবে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতাধীন ১০৪টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাথাপিছু ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট দেওয়া হবে। আর মিড-ডে মিলের জন্য মজুদ যেসব চাল, ডাল রয়েছে তা বিতরণ করা হবে দেশের ১৬টি উপজেলায়।

2
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ফর্টিফাইড বিস্কুট দেশের ১৬ উপজেলার মোট ২ হাজার ২৫৬ টি বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতি স্কুল দিবসে পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ -এর প্রাদুর্ভাব পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিস্কুট সরবরাহ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।


ঝরে পড়া রোধ ও শিক্ষার্থীদের পুষ্টিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় মিড-ডে-মিল ও স্কুল ফিডিং প্রকল্প এবং পাইলট ভিত্তিতে রান্না করা খাবার পরিবেশন কার্যক্রম প্রচলন করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ ও রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম। এছাড়া অন্য এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী তার স্বেচ্ছাধীন অনুদান মঞ্জরি তহবিল থেকে অসহায় মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৭লাখ ৫০ হাজার টাকার অর্থ সহায়তা দেন।