বরখাস্ত সেই শিক্ষক জালিয়াতির মামলায় কারাগারে

নিয়োগ জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হওয়া শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার হাজি অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত সেই সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হুমায়ুন কবীর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণের পর ওই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করে ফৌজদারি আইনে মামলার নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের নির্দেশে হাজি অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জালিয়াতির মামলায় আদালত অভিযোগ গঠন করে জাহাঙ্গীর সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২০১৩ সালের ১৩ জুন হাজি অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর সেলিম শূন্য পদের বিপরীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র তৈরি করেন। এরপর জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিও পান ২০১৩ সালের নভেম্বরে। এই বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে অভিযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের সতত্যা পাওয়ার পর সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর সেলিমের এমপিও স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ম্যানেজিং কমিটিকে মামলা জেলা শিক্ষা অফিসারকে ফৌজদারী মামলার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় অধিদফতর। এরপর ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম আদালতে মামলা দায়ের করেন। ‍ ওই মামলায় শুনানি শেষে রবিবার (২৪ জানুয়ারি) অভিযোগ গঠন করেন আালত। আদালতে উপস্থিত জাহাঙ্গীর সেলিম কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।