‘ঢাবির সবচেয়ে বড় অর্জন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সত্তার স্ফুরণ’

‘ঢাবির সবচেয়ে বড় অর্জন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সত্তার স্ফুরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। শনিবার (২০ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-এর জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাবি অ্যালমানাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৪৭-এর পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যে ২৪ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস, তার প্রত্যেকটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ঢাবি। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রক্ত দিয়েছে ঢাবি। ১৯৪৮, ১৯৫২, ছয় দফা, ১১ দফাসহ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রায় সবখানে নেতৃত্ব দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সত্তার যে স্ফুরণ ঘটেছিল সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। সেই অর্জনকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ এবং সঞ্চালনা করেন ঢাবি ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের শিক্ষক অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ ‘স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। মূল প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনা করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও খ্যাতিমান গবেষক অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী এবং যুক্তরাজ্যের প্রবাসী ভিজিটিং প্রফেসর ড. সেলিম জাহানসহ আরও অনেকে।