বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বরাদ্দের দাবি

মুজিববর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে আসন্ন বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বরাদ্দ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা।

রবিবার (৯ মে) জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা বৈষম্যহীন জাতি গঠনে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণে আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ জাতীয়করণে সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, শিক্ষায় অবকাঠামোগত প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও চরম বৈষম্যমূলক, গতানুগতিক নানা ধারায় বিভাজিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো আরও অনেক আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হতো। ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৭(ক) ধারায় বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন অবৈতনিক শিক্ষার কথা উল্লেখ থাকলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়াও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস এবং কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ ঈদ বোনাস দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ বছরেও এই বৈষম্য পরিবর্তন হয়নি। অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৮ বছরেও এমপিওভুক্ত হতে না পেরে চরম অর্থসংকটে দিনযাপন করছেন। অন্যদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী এবং সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য আকাশ ছোঁয়া।