গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে কেনা হচ্ছে সফটওয়্যার

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে এবার এন্টি প্লেইজারিজম সফটওয়্যার ‘টার্নিটিন’কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। রবিবার (৩০ মে) ভাচুর্য়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত প্লেইজারিজম চেকার ওয়েব সার্ভিস ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির এক সভায়  এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহম্মেদ চৌধুরী ও ড. জাবেদ আহমেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মশিউল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামিম আল মামুন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ -এর অধ্যাপক ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন,  ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউজিসি’র রিসার্স সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন ও আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাকসুদুর রহমান ভূইয়া যুক্ত ছিলেন।

সভায় গবেষণাপত্রে চৌর্যবৃত্তি মোকাবিলায় শিগগিরই টার্নিটিন সফটওয়্যার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জানানো করা হয় টার্নিটিন সফটওয়্যার আইথেনটিক্যাট অংশ গবেষক এবং শিক্ষকদের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি এবং ফিডব্যাক স্টুডিও দিয়ে শিক্ষার্থীদের থিসিস চৌর্যবৃত্তি বিষয়টি নির্ধারণ করা যাবে।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সফটওয়্যারের সেবা সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণার স্বত্ত্ব সংরক্ষণ ও মৌলিকত্ব নিশ্চিত করা সহজ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক—শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের গবেষণা কার্যক্রমের গুণগতমান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই সফটওয়্যার।

ড. আবু তাহের বলেন আরও বলেন, এর লক্ষ্য হচ্ছে গবেষণায় যাতে কোনও ধরনের চৌর্যবৃত্তির ঘটনা না ঘটে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি মোটেও কাম্য নয়। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির করে দেশ খুব বেশি দূর এগোতে পারবে না।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, ব্যবহারবিধি, ব্যয় নিধার্রণে আলাদা কমিটি গঠন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব উদ্যোগে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। টার্নিটিন সফটওয়্যার -এর সর্বশেষ অবস্থা জানতে  দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দেওয়া হবে। এর ফলে এই সফটওয়্যার ব্যবহারের একটি চিত্র পাওয়া যাবে।