ম্যানেজিং কমিটি নয় ‘গ্রন্থাগারিক’ ও ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক’ নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’ এবং ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ পদে নিয়োগের সুপারিশ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও  এমপিও নীতিমালা জারির পর সোমবার (৩১ মে) এই নির্দেশ দিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যানেজিং বা পরিচালনা কমিটি এই পদে নিয়োগের সুপারিশ করতো।

২০২১ সালের নতুন জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় কলেজ পর্যায়ে ‘গ্রন্থাগারিক’ ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার’ পদ দুটির নাম পরিবর্তন করা হয়। এতে ‘গ্রন্থাগারিক’ ও ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার’ পদ দুটিকে শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে করা হয় ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ এবং ‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’।

প্রসঙ্গত, সাধারণ শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।  নীতিমালায় পদ দুটি শিক্ষকের মর্যাদা পাওয়ার কারণে নতুন নীতিমালায় এই দুটি পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশে বলা হয়,  ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও  এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’ এবং ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ পদ দুটি অন্যান্য শিক্ষকের মতো এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তীর্ণের সনদ প্রদানসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদার অনুকূলে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে।

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ হিসেবে এ দুটি পদে এনটিআরসিএ সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। তবে এ আদেশ জারির আগে বিধিসম্মতভাবে যাদের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্নসহ ফলাফল প্রকাশ প্রকাশ করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আগের মত এমপিওভুক্ত হতে পারবেন।

এ আদেশ জারির পর কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বড়ি/অ্যাডহক কমিটি কর্তৃক এ দুটি পদে আর নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কেউ নিয়োগ দিলে তা অবৈধ ও বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তারা কোনওভাবেই এমপিওভুক্তির আওতায় আসবে না।