কোচিং নয়, ‘কোচিং বাণিজ্য’ বন্ধ হবে: শিক্ষামন্ত্রী

কোচিং নয়, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  বুধবার (৯ জুন) ‘চাইল্ড পার্লামেন্টে সেশন ২০২১’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।   ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব কোচিং বন্ধ করে দিতে হবে তা কিন্তু নয়। কোচিং আর বাণিজ্য মিলিয়ে যা হয় তা বন্ধ করা হবে।

এর আগে চাইল্ড পার্লামেন্টে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের বিষয় প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীরা।

প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোচিংয়ের পুরোটাই তো খারাপ নয়, কোচিংয়ের দরকার নেই তাও নয়, কোচিংয়ের দরকার হতে পারে। কোচিংয়ের কোন জায়গাটি খারাপ— শ্রেণি শিক্ষক যিনি রয়েছেন তিনি ক্লাসটা করাচ্ছেন না। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সঠিকভাবে করছেন না। উনি বাধ্য করছেন উনারই কোচিং সেন্টারে পড়তে হবে। সেখানে গিয়ে যদি শিক্ষার্থী না পড়ে তাহলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দিচ্ছেন না। এটা অনৈতিক এবং অন্যয়। যোটাকে আমরা কোচিং বাণিজ্য বলছি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোচিং কথাটাও ভালো, বাণিজ্য কথাটাও ভালো। দুটো মিলিয়ে যে বিষয়টা হচ্ছে, সেটাকে কন্ট্রোল করার জন্য এই আইনে ব্যবস্থা রাখছি। শিক্ষকই যদি কোচিংয়ে পড়তে বাধ্য করেন তাহলেই সমস্যাটা হয়।  সেই জন্যই আমাদের সে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে, যাতে কেউ বাধ্য না করে, কেউ ক্ষতি না করতে পারে। ’

শিক্ষা আইনে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী থাকে যাদের পড়ানোর পর এবং শিক্ষক নজর দেওয়ার পরও তার কিছু বাড়তি সহযোগিতা লাগতে পারে। কারণ সে হয়তো কিছু পিছিয়ে আছে। শিক্ষার্থীকে অনেক বাবা-মা সেভাবে সময় দিতে পারেন না বা সব বাবা-মার হয়ত সক্ষমতাও থাকে না ভালোভাবে তার সন্তানটিকে বুঝিয়ে দেওয়ার। সে জায়গায় শিক্ষার্থীর কোনও না কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন।  ক্লাসের বাইরে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কিছুটা কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। বাবা-মার সম্মতি নিয়ে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পাঠদান করবেন শিক্ষকরা।  সেটার জন্য হয়ত কিছু খরচের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু সেটা বাইরে যে খরচ হয় তার চেয়ে কম হবে। যে শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা খারাপ, সে বিষয়টি একইভাবে বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব হবে। ’

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক চাইল্ড পার্লামেন্টে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।