‘সুপার নিউমারারি’ পদোন্নতি চান প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

পদোন্নতির যোগ্য সহকারী শিক্ষকদের বেশিরভাগ সমগ্র চাকরি জীবনে পদোন্নতির সুযোগ নেই।  সে কারণে সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে ‘সুপার নিউমারারি’ পদোন্নতি চেয়ে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজেশ মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন জানানো হয়। 

লিখিত আবেদনে বলা হয়, পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে হতাশায় রয়েছেন।  সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন।  প্রতিটি বিদ্যালয়ে মাত্র একটি প্রধান শিক্ষকের পদ। তাই পদোন্নতির যোগ্যতা থাকলেও পদ স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি না পেয়ে সমগ্র কর্মজীবন একই পদে কর্মরত থাকেন।  এছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদ কম আবার প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি নেই। ফলে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মকর্তাদের অবসর নেওয়া ছাড়া পদ শূন্য হয় না।

লিখিত আবেদনে আরও জানানো হয়, একদিকে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি নেই, অন্যদিকে মোট প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদোন্নতির যোগ্য পদ আরও কম। তাই পদোন্নতি বিষয়টি সমাধানের জন্য সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির বিকল্প উপায় বের করা সময়ের দাবি।   এই পরিস্থিতিতে পদোন্নতি সমস্যার নিরসনে চাকরির নির্দিষ্ট সময় পর ‘সুপার নিউমারারি’ পদোন্নতি হতে পারে কার্যকরী সমাধান।

লিখিত আবেদনে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের সাত বছর পর প্রধান শিক্ষক পদে ‘সুপার নিউমারারি’ পদোন্নতি দিয়ে ইনসিটু পদায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয় লিখিত আবেদনে।