কর্মস্থলে অনুপস্থিত দুই কলেজ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন আড়াই বছরের বেশি। আর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম সুলতানা অনুপস্থিত রয়েছেন দেড় বছরের বেশি সময় ধরে। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) স্বাক্ষরিত মন্ত্রণালয়ের আলাদা অফিস আদেশে ওই দুই শিক্ষকের ঠিকানায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার জবাব ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।

কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের  সহযোগী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম বিরুদ্ধে জারি করা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি কলেজে যোগদানের পরদিন থেকে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মোট দুই বছর ৭ মাস ১৬ দিন অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।

দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ওই কার্যকলাপ সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ‘অসদাচরণ’ও ‘পলায়ন’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এই শিক্ষককে।  অফিস আদেশ পাওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয় এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যক্তিগত শুনানি তিনি চান কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়।  

অন্যদিকে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম সুলতানার বিরুদ্ধে জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়, অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে অফিস আদেশ জারি হওয়া পর্যন্ত। এই অধ্যাপককে আগে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হলেও তার জবাব পাওয়া যায়নি বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ‘অসদাচরণ’ও ‘পলায়ন’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এই অধ্যাপককে।  অফিস আদেশ পাওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কেনো তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়।