অবশেষে ভিকারুননিসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বেতন ছাড়

আদালত অবমাননার মামলার পর রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমের বেতন ছাড় করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বেতন ছাড়ের আদেশ জারি করে।

আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ করা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের আদেশের কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়াই গত বছর নভেম্বর মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। শুধু তাই নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর বেতন বন্ধ করে সাবেক অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানো নোটিশ করে কেনও দুই মাসের বেতন অতিরিক্ত উত্তোলন করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেতন বন্ধের নির্দেশনা সংক্রান্ত আদেশে বিরুদ্ধে সাবেক অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম ২০২০ সালে হাইকোর্ট রিট আবেদন করেন। ওই রিটে হাইকোর্ট মন্ত্রণালয়ের আদেশের ওপর ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন।  হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল (১২৯৬/২০২০) দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকার পক্ষের আপিল ২০২০ সালে ৮ অক্টোবর খারিজ করে দেন।

অপরদিকে করোনার কারণে ২০২০ সালের ১১ আগস্ট সকল প্রকার স্থগিতাদেশ আদালত পূর্ণাঙ্গভাবে না খোলা পর্যন্ত বর্ধিত হবে বলে আদেশ জারি করেন প্রধান বিচারপতি।  প্রধান বিচারপতির এই আদেশ অমান্য করে ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে হাসিনা বেগমের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ বন্ধ করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।  আদালতে মামলা চলাকালে বেতন বন্ধে মন্ত্রণালয়ের কোনও নির্দেশনা না থাকলেও বেতন বন্ধ করা হয়।    

এই ঘটনার পর সাবেক অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম আদালতের কাগজপত্রসহ দিনের পর দিন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে অনুরোধ করেও বেতন ছাড় করাতে পারেননি।  এক পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চলতি ১ মার্চ লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে বেতন ছাড়ের জন্য অনুরোধ করেন হাসিনা বেগম। ওই নোটিশের পরও বেতন ছাড় না করায় গত ৭ মার্চ আদালত অবমাননার মামলা করেন হাইকোর্টে। আদালত অবমানার মামলাটির আপিল বিভাগে শুনানির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বাধ্য হয়ে বেতন ছাড়ের নির্দেশনা জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।