এমপিওভুক্তির দাবিতে বেসরকারি শিক্ষকদের কর্মসূচি ঘোষণা

এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা।  ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।  

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।  আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় মানববন্ধন কর্মসূচির পর অবস্থান কর্মসূচি শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মন্ডল বলেন, সকাল ১০টায় মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে নগ্ন পদযাত্রা করা হবে। ওইদিন থেকেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন শিক্ষকরা।  কারণ করোনার ১৭ মাস বিনা বেতনে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন শিক্ষকরা।  বিগত ২৯ বছর ধরে চলমান অনিশ্চয়তা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক মুক্তি চান।

শিক্ষকরা জানান, জনবল কাঠামো অনুযায়ী ডিগ্রিস্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত কলেজগুলোয় ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় অনুমোদন নেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এই কারণে কলেজগুলোর জনবল কাঠামোতে স্থান পায় না অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের পদ। ফলে সরকারি বিধিবিধানের আলোকে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হন তারা। আর বিগত ২৯ বছরেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর থেকে বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স স্তর তুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর সে কারণে অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের পদ জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  এই পরিস্থিতিতে বিকল্প প্রস্তাব দেন শিক্ষক নেতারা। 

সর্বশেষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম এব শিক্ষকদের সমস্যা সংক্রান্ত নিরসনে কমিটি গঠন করা হয়।  কমিটির সুপারিশের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে গত ৪ মাসেও প্রতিবেদন দেয়নি কমিটি।