X
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে অবসর সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীকে ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

পরে এই আইনজীবী জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯’ এর প্রবিধান-৬ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫’ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষকদের  মূল বেতনের ২ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৪ শতাংশ কাটার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল হতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধানগুলো সংশোধন করে ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ করে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এই অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনও বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি বলে জানান মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের বেতন হতে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে কোনও আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ কাটার আদেশ বাতিল করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। তাতেও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকলে শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন।

রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে বিবাদীদের প্রতি ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন।

পরবর্তীতে নতুন একটি প্রবিধানমালা জারি করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের ৬ মাসের মধ্যে কেটে নেওয়া ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ অর্থের বিপরীতে সুবিধা প্রদান করার নির্দেশনা চেয়ে সাপ্লিমেন্টারি রুলের জন্য আবেদন দাখিল করেন। শুনানির পর বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিবাদীদের প্রতি ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন।

/বিআই/ইউএস/
সম্পর্কিত
প্রাথমিকের ৬৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল  
হাইকোর্টে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ আসামিসহ সবাই খালাস   
সর্বশেষ খবর
মুজারাবানির ৭ উইকেট, চালকের আসনে জিম্বাবুয়ে
মুজারাবানির ৭ উইকেট, চালকের আসনে জিম্বাবুয়ে
আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়া, আহত ৩
আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়া, আহত ৩
বাস্কেটবল খেলতে নেপাল যাচ্ছে ঢাবি, স্পন্সরশিপ চেক হস্তান্তর
বাস্কেটবল খেলতে নেপাল যাচ্ছে ঢাবি, স্পন্সরশিপ চেক হস্তান্তর
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ
সর্বাধিক পঠিত
‘আমি স্তম্ভিত’
‘আমি স্তম্ভিত’
‘খুলনার আর কোথাও ভাঙচুর হলে এর দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন নেবে না’
‘খুলনার আর কোথাও ভাঙচুর হলে এর দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন নেবে না’
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা গ্রেফতার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা গ্রেফতার
ধরুন, শিশুটি আপনার সন্তান
ধরুন, শিশুটি আপনার সন্তান
এবার রংপুরে নারী ফুটবল খেলা বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি
এবার রংপুরে নারী ফুটবল খেলা বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি