ডিগ্রি স্তরের ৮৪১ শিক্ষককে এমপিওভুক্তির নির্দেশ

ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষকদের ৮৪১ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচলককে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০ সেপ্টেম্বর সই করা আদেশটি মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৯ সালের ২৭ মে প্রস্তাবিত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত ৮৪১ জন তৃতীয় শিক্ষককে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনায় আরও  বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মূল প্রস্তাব ও অর্থ বিভাগের অমুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমপিওভুক্তির নির্দেশ দেওয়া হলো। আদেশে অর্থ বিভাগের দেওয়া শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে।

এমপিওভুক্তির শর্ত

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তর এমপিওভুক্ত থাকতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, তৃতীয় শিক্ষকের নিয়োগকালীন কাম্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবরের পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী, ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে এবং তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি— এমন প্রতিষ্ঠানে নতুনভাবে কোনও তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি কলেজের ডিগ্রি স্তরটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী, ডিগ্রি স্তরে প্রতিটি ঐচ্ছিক বিষয়ের  অনুমোদন পেতে হলে তিন জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, ঐচ্ছিক বিষয়ে দুই জন শিক্ষকের পদ রয়েছে। ফলে তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হয় না।  তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ডিগ্রি স্তরের ১৫৩ তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়। একই বছরের ২৮ আগস্ট বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত (২০১০ সাল পর্যন্ত) তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশিরভাগ তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন।

তবে ২০১০ সালের পর বিভিন্ন ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পাওয়া পাওয়া ৮৪৩ জন তৃতীয় শিক্ষক এমপিও থেকে বঞ্চিত হন। অবশেষে সেই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির নির্দেশ দিলো মন্ত্রণালয়।