গোপালগঞ্জের সেই প্রধান শিক্ষককে লাথি মারার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২৮নং উরফি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাথি মারা এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। 

সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অধিদফতরের তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রকিব উদ্দিনকে (পাঠক্রম ও গবেষণা) প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন—সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) মো. আব্দুল আলীম এবং  অধিদফতরের সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মজিব আলম।

অভিযোগে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম কুমার রায় বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে লাথি মারেন এবং সাময়িক বরখাস্ত করেন।

অভিযোগ মতে, উপজেলার ২৮নং উরফি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস স্ত্রীর সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে গত ৩ অক্টোবর ক্লিনিকে যান। ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম কুমার রায় বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি। কিন্তু বিদ্যালয়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে কিছু না বলেই তাকে লাথি মারেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।  এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস অভিযোগে জানান, উন্নয়ন বরাদ্দের ব্যয়সহ নানা বিষয় নিয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর এ দ্বন্দ্বের কারণে মারপিট করার পরও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।