বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান ইউজিসি’র

বাস্তব দক্ষতা-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) বাস্তবায়ন করা জরুরি। আর সে কারণে ওবিই বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) ইউজিসির স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগ আয়োজিত ‘আউটকাম বেইজড এডুকেশন বাস্তবায়ন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী ভাষণে এই আহ্বান জানান ইউজিসির  সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা বিস্তারের জন্য বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরির দিকে আমাদেরকে এখন বেশি নজর দিতে হবে। একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি এবং মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরির জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।’

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘আউটকাম বেইজড এডুকেশনে শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ মূল্যায়ন শ্রেণিকক্ষে সম্পন্ন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া না হলে পাঠদান অংশগ্রহণমূলক হবে না। ফলে উচ্চশিক্ষার মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে না। তাই বিশেষায়িত জ্ঞান, দক্ষতা ও গবেষণায় আগ্রহী যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।’

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত এবং মানবসম্পদ বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গতানুগতিক পাঠক্রম থেকে বেরিয়ে এসে ওবিই ক্যারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে হবে। উচ্চশিক্ষার আধুনিক পদ্ধতি ওবিই সফল বাস্তবায়ন করা গেলে ক্যারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। শিক্ষা জীবনমুখী হবে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে এবং দেশে গবেষণার সংস্কৃতি চালু হবে।’

এসপিকিউএ বিভাগের উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিকের সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই বিভাগের পরিচালক  ড. ফখরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে এসপিকিউএ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীনসহ কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যিালয়ের প্রফেসর ড. মো. মোজাহার আলী। কর্মশালায় ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।