নতুন চিন্তাধারা অর্জনের সামর্থ্য দিয়েছে ইউল্যাব: কাজী নাবিল আহমেদ

শিক্ষার্থীদের মুক্ত, সাহসী ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইউল্যাব তোমাদের যা দিয়েছে, তা হলো জীবনের বাকিটা সময়জুড়ে নতুন চিন্তাধারা অর্জনের সামর্থ্য। আমরা তোমাদের লিবারেল আর্টস অর্থাৎ উদার মানবিক বিদ্যা শেখাতে চেয়েছি। যেন তোমরা বাংলাদেশের ও বিশ্বের আলোকিত নাগরিক হতে পারো।’

সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ষষ্ঠ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ইউল্যাবের সমাবর্তন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘ইউজিসি রিপোর্ট-২০১৯ অনুযায়ী গবেষণা খাতে ব্যয় বিবেচনায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউল্যাবের অবস্থান দ্বিতীয়। মেধাবী শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং অনুন্নত এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীসহ প্রতি বছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে থাকে। ইউল্যাব প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৫ কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেয়। এগুলোর মধ্যে উপাচার্য বৃত্তি ও ডিন বৃত্তি উল্লেখযোগ্য।’

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল বলেন, “ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতি সেমিস্টারের ফলের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাবৃত্তি পায়। এ ছাড়া ইউল্যাবে ভর্তির ক্ষেত্রেও এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ইউল্যাব সারা দেশের সেরা কলেজগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে শতভাগ বৃত্তিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ‘দি গ্লোরিয়াস ৫০’ শিরোনামের এ আয়োজনে ৫০ মেধাবী শিক্ষার্থী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের এ বৃত্তির সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।”

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয় ১০ বছরের জন্য স্থাপিত হয় না। ৫০ বছর বা একশ’ বছরের জন্যও নয়। সবচেয়ে ভালো মানের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিরন্তর অগ্রগতির পথে ধাবিত হচ্ছে। ধারণ করছে নতুন চিন্তাধারা। এটাই প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। এটা ইউল্যাবেরও লক্ষ্য। ইউল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার বাবা কাজী শাহেদ আহমেদ আমাকে একসময় বলেছিলেন, ‘মুক্ত মানুষ হও, সাহসী হও, সহনশীল হও’। তোমাদের মধ্যে যদি এসব বৈশিষ্ট্য থাকে, নিশ্চিত বলতে পারি, সাফল্য একদিন ধরা দেবেই।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সহ-সভাপতি কাজী আনিস আহমেদ।

সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সামসাদ মর্তুজা, রেজিস্ট্রার লে. কর্নেল (অব.) ফয়জুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিলন কুমার ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।