বেসরকারি অনার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি 

দেশের বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের পক্ষে এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন। রবিবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারর মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি শহরগুলোয় মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন শিক্ষকরা।   

বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে চরম বেতন বৈষম্য নিরসনে বিভাগীয় কমিশনারে মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আমাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে আগামী ১৬ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স-মাস্টার্স স্তর থেকে টাকা উপার্জন করলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। জনবল কাঠামোতে পদ নেই বলে বছরের পর বছর এমপিওবঞ্চিত করা হলেও জনবল কাঠামোতে পদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।  সে কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে স্মারকলিপি দিয়েছি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৯৩ সাল থেকে জনবল কাঠামো না থাকার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজগুলোয় বিধি-মোতাবেক নিয়োগ পাওয়া অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা (এমপিও) থেকে বঞ্চিত। একই প্রতিষ্ঠানে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রি স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হলেও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে চরম বেতন বৈষম্যের শিকার।

অন্যদিকে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। যা চরম বৈষম্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

দেশের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক এমপিওভুক্ত করলে প্রতি মাসে যে খরচ হতে পারে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, প্রতিমাসে ১২ কোটি  টাকা হিসেবে  বছরে ১৪৪ কোটি টাকা বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ হলেই সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। তাই আসন্ন ভর্তি কার্যক্রম শুরুর আগেই কর্মরত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।