এমপিওভুক্তি নিয়ে সংসদে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

দেশের এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) মাদ্রাসার সংখ্যা ৭ হাজার ৯৫৫টি। মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ১৩৩ শিক্ষার্থী আছে। রবিবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। চলমান নীতিমালার আলোকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয় সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, ঢাকার স্কুলে শিক্ষার্থীর চাপ কমাতে সরকার রাজধানীর আশেপাশের এলাকাগুলোতে ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলো হবে— কেরানীগঞ্জ, পূর্বাচল, জালকুড়ি, নবীনগর, ধামরাই, হেমায়েতপুর, জোয়ার সাহারা, সাঁতারকুল, আশুলিয়া ও চিটাগাং রোডে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, আগামী ২৩ জুন ‘শিক্ষা আইন ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত করে নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন,করোনা মহামারির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে সমাপনী পরীক্ষা আপাতত বন্ধ থাকায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি কার্যক্রম চলমান আছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৬২৬টি জরাজীর্ণ ভবন আছে। এসব জরাজীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, আগামীতে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান মৃত্যুবরণ করলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন বা এর আশপাশের বিশেষ এলাকায় সমাধিস্থ করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

জাতীয় সংসদের পাশে সচিবালয় স্থাপন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থপতি প্রফেসর লুই আই কানের মাস্টার প্ল্যান অনুসারে বাণিজ্য মেলার মাঠে বাংলাদেশ সচিবালয়ের নকশা স্থাপত্য অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবতার নিরিখে সাইটের সঙ্গে নকশার সমন্বয় করা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।