নতুন সরকারি হওয়া কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্রুত আত্তীকরণ দাবি

আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সদ্য সরকারি হওয়া কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রটেকশনের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস)। একইসঙ্গে ২০১৮ সালের  আত্তীকরণ বিধিমালা সংশোধন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও দাবি জানায় শিক্ষক সংগঠনটি। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

রবিবার  (৩১ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৬ সালের ১৭ মে ৩০২টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করার জন্য নির্বাচিত করা হয়। শুরু হয় যাচাই বাছাই কার্যক্রম।  ২০২০ সালের ১ জুন যাচাই বাছাই কাজকে গতিশীল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫টি কমিটির গঠনের অফিস আদেশ জারি করে। এতেও কাজের গতি বৃদ্ধি না পাওয়ায় মন্ত্রণালয় আবার ২০টি কমিটি গঠন  করলেও অধিকাংশ কমিটি  দায়িত্ব পালন না করায় আত্তীকরণ কাজের তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি।

শিক্ষকদের দাবি

১. আত্তীকরণ বিধিমালা -২০১৮ এর অসঙ্গতি দূর করে ১০০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকাল  নির্ধারণ করে সবক্ষেত্রে কার্যকর করা, পদসোপান তৈরি ও পদোন্নতির ব্যবস্থাসহ শিক্ষক প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালা সংশোধন করা।

২. কালক্ষেপণ না করে সদ্য সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা।

৩. পদসৃজন বঞ্চিত শিক্ষক কর্মচারীদের রিভিউ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করে তাদের নিয়োগশেস করা।

৪. ৩১ আগস্টের মধ্যে সদ্য সরকারি হওয়া কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণে পে-প্রটেকশনের প্রজ্ঞাপন জারি ও  বাস্তবায়ন করা।