অনশনের মাঝেও শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি তারা

প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে গত ৫ জুন শুরু হওয়া বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) নিবন্ধন সনদধারীদের গণঅনশন ৭২ দিনে গড়িয়েছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে ‘প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধন শিক্ষক’ সংগঠনের এ কর্মসূচিতে পালন করা হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণঅনশন কর্মসূচিতে সকাল ৮টা থেকে বাজানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। ফাঁকে ফাঁকে তাঁর জীবনীভিত্তিক আলোচনাও করছেন অনশনরতরা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তাদের এই কর্মসূচি।

দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে প্যানেল-প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জিএম ইয়াছিন।

298222887_599704755095800_8026376551144740233_n

প্যানেল-প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. আমির হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছেন নিবন্ধন প্রত্যাশীরা। টানা ৭২ দিন ধরে এই কর্মসূচি চলছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

চলমান অনশনে দেশের ৬৪ জেলা থেকে আসা দুই শতাধিক শিক্ষক অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে আসছি। এমনকি ঈদুল আজহার দিনও আমরা রাজপথে ছিলাম। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।

প্যানেল-প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের বৈঠকে উঠেছে— এমনটা জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্নভাবে বিষয়টি দেখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু সুস্পষ্ট কোনও ঘোষণা আসেনি।

জিএম ইয়াছিন জানিয়েছেন, টানা প্রায় আড়াই মাস ধরে রাজপথে অনশন করায় শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গত ৫ জুন প্যানেল-প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকরা জাদুঘরের সামনে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে গণগ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলে রাতে অবস্থান না করার শর্তে আন্দোলন চালাতে হয় তাদের।

প্যানেল-প্রত্যাশীরা দাবি করেন, সব নিবন্ধনধারীর নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।