‘ইউল্যাব এখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অনুকরণীয়’

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘ইউল্যাব তার শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিয়ে আসছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও এটি এখন অনুকরণীয়। এখানেই আমাদের সার্থকতা।’

শনিবার (১ অক্টোবর) ইউল্যাবের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউল্যাবের ভিসি ইমরান রহমান।ইউল্যাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ

ইউল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘একসময় লিবারেল আর্টস মানে কী, সেটা নিয়ে অনেকেই পারফরমিং আর্টসের সঙ্গে মিলিয়ে কনফিউজড হতেন। লিবারেল আর্টস সুপ্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, আর্টসসহ বিভিন্ন বিষয় এবং শারীরিক বিষয়সহ সব ক্ষেত্রে পড়াশোনা করবে। সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবে, যাতে তারা সত্যিকারভাবে পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউল্যাবে শুরু থেকে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ স্টাডিজ শিক্ষা ছিল বাধ্যতামূলক। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপরে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছি। একজন শিক্ষার্থী যে বিষয়ে পড়াশোনা করুক না কেন, অন্যান্য বিষয়ে যাতে তার একটি ধারণা থাকে, সেটি আমরা লক্ষ রেখেছি। ১৮ বছর ধরে ইউল্যাব কাজটি করে এসেছে। আমাদের দেখাদেখি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলা ভাষা স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ স্টাডিজসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রবর্তন করা হয়েছে। আমাদের সার্থকতা এখানেই।’ইউল্যাবের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আনিস আহমেদ

অনুষ্ঠানে ইউল্যাবের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আনিস আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রের যে চার মূলনীতি, সেগুলোকে ধারণ করে যদি আমরা দেশ গড়তে চাই, তাহলে উদারবাদী চিন্তা চেতনার কোনও বিকল্প নাই। আমরা এমন একটা সময় পার করছি, পশ্চিমা বিশ্বসহ গোটা বিশ্বে উদারবাদী চিন্তা বা মনোভাব নিদারুণভাবে অনুভূত হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে আমরা যারা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করার দায়িত্ব নিয়েছি, তাদের এই উদারপন্থী চিন্তা শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা আন্তরিক। সেই শিক্ষাটাকে সময়ের উপযোগী করে আমরা কতটা দিতে পারছি, তারা সেটিকে নতুন করে নিতে পারবে কিনা এবং অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করতে পারবে কিনা, সেটাই হচ্ছে বিষয়।’

কাজী আনিস আহমেদ বলেন, ‘এই উদারবাদী চিন্তার ব্যাপারে আমরা কমিটেড থাকবো। এই ধরনের শিক্ষা আমাদের রাষ্ট্রে, বঙ্গবন্ধু যে আদর্শে এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। রাষ্ট্রের যে চার মূলনীতি, সেগুলোকে ধারণ করে যদি আমরা দেশ গড়তে চাই, তাহলে উদারবাদী চিন্তা-চেতনার কোনও বিকল্প নাই। এই কাজটি করে যাচ্ছে ইউল্যাব।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান সমাপনী বক্তব্যে অতিথিদের ধন্যবাদ জানান এবং ইউল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহেদ আহমেদের সুস্থতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা, ইউল্যাবের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগন, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউল্যাবের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আরজু ইসমাইল।

আরও পড়ুন- ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলছে: তথ্যমন্ত্রী