শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির সময় আবারও বাড়লো

শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডির জন্য ডাটা এন্ট্রির সময়সীমা আবারও বাড়ানো হয়েছে। ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স’ (সিআরভিএস) ব্যবস্থার আলোকে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (আইইআইএমএস) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নাসির উদ্দিন গনির সই করা এক অফিস আদেশে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়।

এর আগেও কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, আইইআইএমএস প্রকল্পের আওতায় সিআরভিএস ব্যবস্থার আলোকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল ডেটাবেজ প্রণয়ন ও ইউআইডি দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে স্টুডেন্ট প্রোফাইল ডেটাবেজে সফটওয়ারের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ চলমান রয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডাটা এন্ট্রির সময় নির্ধারিত ছিল। এ সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্নিধারণ করা হলো।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি (একক পরিচয়) দিতে মুবিজবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময় শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়নের কাজ শুরু করে সরকার। প্রোফাইলে একজন শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে। প্রোফাইলের তথ্য থেকে তৈরি করা হবে ইউনিক আইডি। এই আইডি থেকেই পরবর্তী সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে শিক্ষার্থীরা। 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সিআরভিএস ব্যবস্থার আলোকে দেশের তিন কোটির বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি করছে সরকার। পাঁচ বছর বয়সী প্রাক-প্রাথমিক থেকে ১৭ বছর বয়সের দ্বাদশ শ্রেণির সকল ছাত্র-ছাত্রী পাবে এই ইউনিক আইডি। এই আইডিতে ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর থাকবে, যা পরে হবে ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে আলাদা করে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না। ২০২০ সালে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিগত সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে করোনার পরিস্থিতির মধ্যেই শিশু জরিপের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।