মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কোনও অপ্রীতিকর খবর আসেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় কোথাও কোনও অসঙ্গতি বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারা দেশে খোঁজ-খবর নিয়েছি। এখনও কোথাও থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে কেউ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার ছেলে-মেয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। এবছর সারাদেশে ৫৭টি ভ্যেনুতে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ছেলে-মেয়ে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। এবারের পরীক্ষার্থী গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪ হাজার কম। 

এবারও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মোট আবেদনকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪ শতাংশ মেয়ে আর ৪৬ শতাংশ ছেলে। সেই হিসেবে ছাত্রীর সংখ্যা ছাত্রদের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বেশি।’

এইচএসসি ও সমমানে এবছর পাসের ক্ষেত্রেও নারীরা এগিয়ে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারীরা সবদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা পিছিয়ে ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে তারা পাশাপাশি হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন।’

বিশেষজ্ঞ কমিটি যে প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, পৌঁছানোর সময় কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী বন্ধু এবং অভিভাবকদের অনুরোধ করবো, তারা যেন হুজুগে কান না দেয়। রিউমারে কান না দিয়ে যদি তারা ভালোভাবে পড়াশোনা করে তাহলে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। অতিদ্রুত আমরা রেজাল্ট প্রকাশ করবো।

এরআগে বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন জানান, ‘দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। ফলে প্রতিটি আসনে ভর্তির জন্য লড়বেন ৩২ জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৬ হাজার ৭৭২টি। সব মিলিয়ে এবার ১১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এই হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি কলেজের প্রতিটি আসনের জন্য ১২ দশমিক ৫ জন পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’

তিনি আরও জানান, ‘সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৩ হাজার ৩৮৪ জন প্রার্থী মেধা তালিকা নেওয়া হবে। এছাড়া জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৩৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন। অপরদিকে বেসরকারি ৭১টি মেডিক্যাল কলেজের ৬ হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন।’