‘অর্থনৈতিক মুক্তিই স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেছেন, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিই আমাদের স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার। দারিদ্র্যের বলয় ভেঙে সেই মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার (২৬ মার্চ) ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপাচর্যের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সাধারণ মানুষের মুক্তিই আসল কথা। খেটে খাওয়া, শ্রমজীবী মানুষের দারিদ্রের বলয় ভেঙে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুরো বিশ্বব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। সেখানে যদি মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা তৈরি না হয়, তাহলে সে ঝরে পড়তে পারে। আমাদের মূল জায়গা, একটি মানুষও যেন ঝরে না পড়ে।’

স্মৃতিসৌধে আসার মূল উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের শাণিত করা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল প্রেরণা প্রতিটি মানুষের মুক্তি। বঙ্গবন্ধু শোষণহীন, বঞ্চনাহীন একটি সমাজের কথা ভেবেছিলেন। সমতাভিত্তিক সমাজ সৃষ্টি করা গেলে, সেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না। প্রতিটি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে– এটিই স্বাধীনতার মূল জায়গা। আমরা অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক সমাজের একটা সমন্বয় করতে চেয়েছিলেন। এগুলোর প্রকৃত অর্থ হলো ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর উচ্চারণ করা দুটি শব্দ– স্বাধীনতা এবং মুক্তি।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের সমাজে বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক আলোড়ন এবং জাগরণ দরকার। কখনও কখনও অগণতান্ত্রিক সরকার, কখনও আধা-সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসে। তার মধ্য দিয়ে যে চর্চা হয় তাতে আমরা বিচ্যুত হই। কিন্তু আমরা এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থাপনা গড়তে চাই, যে শিক্ষার মধ্য দিয়ে সমতাভিত্তিক এবং অধিকারের সমাজ সৃষ্টি হবে।’

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।