‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য দূর করতে আইন সংশোধন হচ্ছে’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর বৈষম্য দূর করতে আইন সংশোধনে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (৫ জুন) ইউনিভার্সিটি অব অল্টারনেটিভ (ইউডা) -এর সপ্তম সমাবর্তনে এ কথা জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী।   

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়গুলোয় অনেক রকম বৈষম্য আছে। আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ সংশোধনের ব্যাপারে কথা বলছি, কাজও করছি।’

দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্মুক্ত মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র হবে। একই সঙ্গে সেখানে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। আজ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা শুনলাম, সেগুলোয় আমাদের শুধু স্বস্তিই দেয় না, আনন্দিতও করে। কিন্তু সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা তো এক নয়। অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। আমি আশা করি সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের উন্নয়ন ও সফলতা নিশ্চিত করার স্বার্থে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ সঠিকভাবে মেনে চলবেন। শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের কোনও ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য পরিহার করবেন। শিক্ষা খাতের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে উদার এবং মানবিক নীতি মেনে শিক্ষাকে মানবসম্পদ উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকায় রূপ দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। আমি আশা করি আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে এবং তাদের প্রতিটি প্রোগ্রাম, প্রতিটি ডিগ্রি, এক্রিডেট করবার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হবেন।’

দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে মুক্তবুদ্ধির চর্চা কেন্দ্র, একই সঙ্গে জ্ঞান সৃষ্টিরও কেন্দ্র। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হলে গবেষণার প্রয়োজন। আমরা বারবার বলছি গবেষণা করতে হবে। অনেকেই গবেষণা করছেন, কিন্তু গবেষণাকে ইনকিবিউট করা এবং উদ্ভাবনকে কমার্শিয়ালাইজেশন করা এই পুরো পথটা সম্পন্ন হচ্ছে না। তার ফলে গবেষণার যুক্তিকতা থাকছে না।’

তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কতগুলো বিশেষ বিষয় পড়ানো হয়। যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিষয় অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত। ভাষা-সহিত্য, দর্শন এসব বিষয় একেবারেই উপেক্ষিত থাকে।’

টেকনিক্যাল এডুকেশনে আরও বেশি জোর দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন দীপু মনি।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ইউনিভার্সিটি অব অল্টারনেটিভ এর উপ-উপাচার্য রওনক জাহান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুজিব খান।