চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে ১০ সুপারিশ

অধিকারভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে অভিমত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার (১৪ জুন) ঢাকার ইউসেপ বাংলাদেশ কনফারেন্স কক্ষে ‘শিক্ষার্থীদের শিখন স্তরের বর্তমান অবস্থা ও শিক্ষার গুণগতমান অর্জন’ শীর্ষক জাতীয় শিক্ষা সংলাপে এই অভিমত ওঠে আসে। সংলাপ অনুষ্ঠানে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ‘নাগরিক কর্তৃক পরিচালিত মূল্যায়ন (সিএলএ)’ নামে একটি জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।  জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণের পর বিশেষজ্ঞরা তাদের ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের (ক্যাম্পে) নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

এছাড়া নাগরিক সমাজ, যুব ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ অনুষ্ঠানে অতিথিরা সংলাপে অংশ নেন।

বিষয়ভিত্তিক সংলাপ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. তাপস কুমার বিশ্বাস, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক এ কে এম এনামুল হক।

সুপারিশ

১) প্রকল্প ও জরিপের ফলাফল উপস্থাপনায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ‘এডুকেশন আউট লাউড (ইওএল)’ প্রকল্পের পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো হলো— শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা;

২) অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা;

২) শিক্ষকদের ক্লাস পরিচালনায় নিয়মিতকরণে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা;

৩) শিক্ষার গুণগতমান অর্জনে শ্রেণির পড়া শ্রেণিতেই সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা;

৪) অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা পর্যাপ্ত ক্লাসরুম ও স্যানিটেশনের  ব্যবস্থা করা;

৫) শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;

৬) শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ও অন্যান্য ̈ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা;

৭) শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা;

৮) সময়োপযোগী পাঠ্যপুস্তকসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও বিতরণ করা;

৯) স্কুল ফিডিং কার্যক্রম প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাতে চালু করা;

১০) শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে নীতিনির্ধারক, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সকল অংশীজনের মতামতের আলোকে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা।