বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান ইউজিসি’র

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করতে স্বতঃপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এবং তথ্য অধিকার আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (২০ জুন) অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান ইউজিসিরি সদস্য অদ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

ইউজিসি'র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তথ্য না দেওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। ’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। প্রকাশযোগ্য সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সংবিধানে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ— এ বিষয়টি যুক্ত করেছেন। কাজেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।’ রাষ্ট্রকে পরিচালনা করা ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ড. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালনা করেন।