এনটিআরসিএ নিবন্ধনধারীদের শর্তহীনভাবে শূন্য পদে নিয়োগের দাবি

এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত সনদধারীদের শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম।

বুধবার (২৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের সভাপতি  নীলিমা চক্রবর্তী বলেন, এখন পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের নেওয়া (এনটিআরসিএ) ১৬টি নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছে মাত্র চারটি। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে ২০১৮ সালের আগে নিবন্ধন সনদ পাওয়াদের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যাদের বয়সের ৩৫ বছরের বেশি তাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এতে অনেক সনদধারী নিয়োগ বঞ্চিত হন।

আবার তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুযোগ দিলেও একটি নিয়োগের জন্য আবেদন করতে হয়েছে অনেকবার করে। যারা প্রথম ও দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া অর্থাৎ ইনডেক্সধারী তাদের আবারও নির্বাচন করা হয়। দিনের পর দিন নিয়োগবঞ্চিত করে আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কৌশলে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগবঞ্চিত করে রাখার চেষ্টা চালানো হয়। এভাবে চলতে থাকলে কোনদিনও আমাদের নিয়োগ সম্ভব হবে না। এ প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হই।

দুঃখের বিষয় ১৯৯ দিন আন্দোলনে থাকার পরও আমাদেরকে নিয়োগের আশ্বাস থেকে বঞ্চিত রাখা হয়। ২০০তম দিনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশের লাঠি চার্জে সেখানেই অবস্থান নিতে বাধ্য হই। পরে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দেন আমাদের কথা তিনি শুনবেন। আমরা নিয়োগবঞ্চিতরা শিক্ষামন্ত্রীর কথার মান রক্ষার্থে মাঠ ছেড়ে দেই। কিন্তু কী নিষ্ঠুর পরিহাস, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের পক্ষে আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও আইনের দোহাই দিয়ে শূন্য হাতে আমাদেরকে ফিরিয়ে দেন।

তিনি বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি মহামান্য হাইকোর্ট ৫৪ মামলার রায়ে আগে যা ছিল সেটিই বহাল রাখেন। মামলার রায় অনুযায়ী ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের সনদের মেয়াদ আজীবন। এর ফলে আমরা যারা ২০১৮ সালের আগে নিবন্ধিত তাদের মধ্যে যারা ৩৫ ঊর্ধ্ব তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনগত আর বাধা থাকলো না।

নীলিমা বলেন, ১ম ব্যাচ থেকে ১২তম ব্যাচের খুবই অল্পসংখ্যক সনদধারী নিয়োগবঞ্চিত রয়েছে। সংখ্যাটি ১০০০-১৫০০ মধ্যে। শূন্য পদ আছে ৩৫ হাজারের বেশি। এই অল্পসংখ্যক বঞ্চিত নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ দেওয়া জন্য কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার প্রয়োজন।

এসময় এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।