অধ্যক্ষসহ মাদ্রাসার ৯ শিক্ষকের এমপিও বন্ধে নোটিশ

জালিয়াতির মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার জন প্রভাষককে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাইয়ে দেওয়ার কারণে চার অধ্যক্ষের এমপিও বন্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। একইসঙ্গে পদোন্নতি পাওয়া চার জন শিক্ষকের এমপিও বন্ধেও কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়। অপরদিকে প্রাপ্যতা থাকার পরও একজন শিক্ষককে পদোন্নতি বঞ্চিত করার কারণে আরও একজন অধ্যক্ষের এমপিও বন্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর থেকে জারি করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়ছে।

পৃথকভাবে জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়, তথ্য গোপন করে ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষরা। এমন পাঁচ জন অধ্যক্ষসহ ৯ শিক্ষকের এমপিও বন্ধ বা স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে কেন হবে না, তা সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়। একইভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদেরও কারণ দর্শাতে বলা হয়।  

অফিস আদেশগুলো থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সৈয়দপুর হাজী আলী হোসেন বেপারি আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মো. মিজানুর রহমান জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি পান। পদোন্নতি পাইয়ে দিতে ব্যবস্থা নিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. শফিউল আলম।

বরিশালের হিজলা উপজেলার মাউলতলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলার প্রভাষক আবদুল্লাহ আল মামুন জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। পদোন্নতি পাইয়ে দিতে ব্যবস্থা নিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ। 

সুনামগঞ্জের মেরুয়াখলা মমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আবু সাঈদ জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতি নেওয়ার ব্যবস্থা নেন অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম।

নীলফামারিরর সৈয়দপুর উপজেলার শ্বাষকান্দার আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী। তার পদোন্নতি পাইয়ে দিতে ব্যবস্থা নিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মান্নান সরকার।  

অন্য আরেকটি আদেশে বলা হয়, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক মো. মাহমুদল হক সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন এবং পদোন্নতির প্রাপ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। এমতাবস্থায় অসদাচরণ করায় কেনও অধ্যক্ষর এমপিও বন্ধের ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে নোদিশ দেওয়া হয়েছে।