‘সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকা ভার্সিটিগুলোকে পিএইচডি চালুর সুযোগ দেওয়া উচিত’

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র বলেছেন, বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে মানুষের মনে যে সন্দেহগুলো আছে, সেই সন্দেহের ঊর্ধ্বে যেসব প্রতিষ্ঠান— সেসব প্রতিষ্ঠানকে পিএইচডি করানোর সুযোগ দেওয়া উচিত।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি: সম্ভাবনার নতুন দুয়ার’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) সহযোগিতায় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিনের সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নেন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম এবং বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম আব্বাস। 

অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র  বলেন, ‘পাবলিক এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্য করার সুযোগ নেই বলে আমার মনে হয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই সুযোগ থাকা উচিত। তবে এটাও দেখতে হবে যে, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুযোগ নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যারা শীর্ষে আছে, ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী যারা সনদপ্রাপ্ত হয়েছে, অর্থাৎ যারা আইন মেনে চলে, যারা নিজেদের আজকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে, যাদের যোগ্য শিক্ষক আছে, আবার অনেক শিক্ষক আছেন, যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করে বেসরকারিতে এসেছেন, অথবা বিদেশে কোনও নামকরা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ছিলেন, তারা পিএইচডি গবেষণা তত্ত্বাবধায়ন করে এসেছেন— তাদের যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই এটি শুরু করা দরকার।’

‘দ্রুত নীতিমালা হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে’

এছাড়া বৈঠেকিতে বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম আব্বাস বলেন, ‘যেহেতু আলোচনা আগে থেকেই হচ্ছে এবং নীতিমালা তৈরি হচ্ছে, সেহেতু দ্রুত নীতিমালা হলে আমার মনে হয় না কোনও সমস্যা হবে। বরং এটা করা হলে শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লাভবান হবে না, লাভবান হবে বাংলাদেশ।’

বক্তব্য রাখছেন বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম আববাসতিনি বলেন, ‘নীতিমালা করার পর সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। আমার জানা মতে, ডজনখানেক বিশ্ববিদ্যালয় সেই যোগ্যতা পূরণ করতে পারবে এবং নীতিমালা অনুযায়ী পিএইচডি করাতে পারবে। সব বিষয়ে পিএইচডি নাও হতে পারে, কেউ বাংলায় করালে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো অন্য বিষয়ে করাবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং মঞ্জুরি কমিশনে সুযোগ দিতে আর পেতে সমস্যা নেই। তাহলে সমস্যা কোথায়? আমাদের দ্রুত নীতিমালার দিকে যাওয়া দরকার। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যৌথভাবে পিএইচডি করাতে পারে। আমি জানি না তারা যৌথভাবে পিএইচডি শুরু করেছে কিনা। যদি শুরু করে থাকে, এটিও একটি ভালো দিক হতে পারে।’

বৈঠকিটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ।

আরও পড়ুন:

সব বিশ্ববিদ্যালয় একই মানের পিএইচডির যোগ্যতা রাখে না: ড. আতিকুল ইসলাম

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি চালু হলে গবেষণার উৎস বাড়বে: ভিসি ইমরান রহমান