স্বাস্থ্য-শিক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির পাশাপাশি সংগীত, নাটক রোলপ্লে, পাপেট, ছবিসহ সৃষ্ঠিশীল মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া বেশি ফলপ্রসূ। বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ অন্যান্য শিক্ষায় এটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে, শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বুধবার (১ নভেম্বর ২০২৩) রাজধানীর একটি হোটেলে একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

ইউনিভার্সিটি অব লিডস, আর্ক ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে ‘শহুরের বস্তিবাসীদের সাথে শিল্প ও স্বাস্থ্যের একীভূতকরণ: বাংলাদেশের মূল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে স্টিম শিক্ষাব্যবস্থার উদ্যোগ’ শীর্ষক এই গবেষণাটি করে। ঢাকা মহানগরীর অনানুষ্ঠানিক স্কুলগুলোয় সৃষ্টিশীল মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিক্ষার ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, বাংলা ও গণিতে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ, কিন্তু ইংরেজি ও বিজ্ঞান এই দুই বিষয়ে তাদের বেশ অনাগ্রহ। সীমিত শিক্ষার কৌশল জানার কারণে শিক্ষকরা ইংরেজি ও বিজ্ঞান শেখানোকে চ্যালেঞ্জিং মনে করেন।

গবেষণায় আরও জানা যায়, করোনার সময় দেখা যায়, কীভাবে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত জ্ঞানের বাস্তবিক ব্যবহার করতে হয় সে বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ছিল না। এছাড়াও অনানুষ্ঠানিক স্কুলগুলোয় অবকাঠামো, আর্থিক সহায়তা এবং শিশু-বান্ধব পরিবেশের অভাব ছিল। কুসংস্কারও ছিল অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ, যেখানে মানুষ বিভিন্ন রোগ ও এ সম্পর্কিত চিকিৎসার ব্যপারে ভুল ধারণা পোষণ করে এবং গতানুগতিক চিকিৎসার ওপর নির্ভর করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও আর্টস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়ায় একসঙ্গে মনোযোগী করে তুললে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

বক্তরা আরও বলেন, শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. রুমানা হক শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপ প্রকল্প পরিচালক এস এম মোর্শেদ বিপুল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর উপ প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান, লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের নুফিল্ড সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অধ্যাপক ড. মহুয়া দাস, প্রজেক্ট অফিসার জর্জিয়া পাপাটজিকাকি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক জাহিদুল কাইয়ুমসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্যকর্মী, উন্নয়নকর্মী, নাট্যকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, শিক্ষকসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা।