লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তিতে জরুরি নির্দেশনা জারি

সারা দেশের মহানগরী ও জেলা সদর পর্যায়ের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল লটারি-পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

আজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনপ্রক্রিয়া উদ্বোধন করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান পরবর্তী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল শিট (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল সিটের প্রথম তালিকা অনুযায়ী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে, প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমিক নম্বর অনুসারে চার কর্মদিবস এবং দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমিক নম্বর অনুসারে তিন কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি গ্রহণের সময় নির্দিষ্ট বিষয়গুলো আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

নির্দেশনা
১. ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনটি Click করার পর প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারিদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত প্রথম তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এই লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে তা জানা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনও আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিতদের তালিকা প্রদর্শন করবে।

২. ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে;

৩. নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে;

৪. মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনও শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না;

৫. শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময় ওই কোটাগুলো নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপক্ষেমাণ তালিকার ক্রমানুসারে ওই শূন্য আসন পূরণ করতে হবে । কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না;

৬. সর্বোপরি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি-নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

৭. উপরোল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।