ভেঙেই ফেলা হলো স্কুলটি

রাজধানীর লালমাটিয়া বি ব্লকের ২/৬, প্লটের ‘পেনফিল্ড’ স্কুলটি উচ্ছেদ করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সোমবার (৮ এপ্রিল) স্কুলটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে গণপূর্তের উচ্ছেদ নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি রয়েছে উচ্চ আদালতে। 

পেনফিল্ড স্কুলের অধ্যক্ষ সৈয়দ পরভেজ আহসান বলেন, আমাদের কোনও রকম নোটিশ না দিয়ে ঈদের ছুটি চলাকালে আজ স্কুল ভবনটি উচ্ছেদ করতে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা স্কুলের ২৪০ জন শিক্ষার্থীর ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য ভবন উচ্ছেদের বিরুদ্ধে হাইটের্টে রিট দায়ের করেছি। রিটের শুনানি হবে।

অধ্যক্ষ সৈয়দ পরভেজ আহসান জানান, সকাল ৮টা থেকে স্কুলটি ভেঙে ফেলা শুরু করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লো। স্কুল না থাকায় স্টেটমেন্ট অব এন্ট্রি ছাড় হবে কীভাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। এখন আদালতের আদেশের অপেক্ষায় করছি।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের ছুটির মধ্যে গোপনে স্কুল ভবনটি উচ্ছেদ করার জন্য পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। অথচ ক্যামব্রিজ ও এডএক্সেল মিলিয়ে স্কুলে ২২৩ জন ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার্থী আগামী এপ্রিল ও মে মাসে পরীক্ষায় বসবে। এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা রয়েছে। এই পরিস্থিতি আমরা কীভাবে সামাল দেবো তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

পুলিশের উপস্থিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে

স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্কুলটি গোপনে উচ্ছদ করতে কৌশল নিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। উচ্ছেদের নোটিশে ভবন উচ্ছেদ করার কথা বলা হলেও সেটি যে স্কুল ভবন তা উল্লেখ করা হয়নি। আর সে কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড অবহিত না করেই শুধু পুলিশের সহায়তা চেয়ে ভবন উচ্ছেদের নোটিশ প্রস্তুত করা হয়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে বিদেশি কারিকুলামে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্কুল ভবনটি ছিল একতলা পাকা আর দ্বিতীয় তলা টিনসেড। সামনের জায়গাটি ছিল শিশুদের খেলার জন্য উন্মুক্ত। বিদ্যালয় ভবনটি গণপূর্তের অধীনে ন্যাশনাল হাউজিংয়ের কাছ থেকে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। আর বিদ্যালয় ছাড়া ভবনে আর কোনও প্রতিষ্ঠানও নেই।

আরও পড়ুন-

স্কুল উচ্ছেদ করতে চায় গণপূর্ত, ২২৩ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত