মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

সুর ও বিদ্যাদেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে পূজার সূচনা হয়। এরপর মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সুর ও বিদ্যা দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে পূজার সূচনা করা হয়। এরপর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

474864874_1137796904513565_2661595525060888383_nপূজা উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ’র কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক দীপক কুমার মিত্র।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুর রব খান বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান আমাদের প্রতিষ্ঠানের অসাম্প্রদায়িকতাকেই তুলে ধরে। এনএসইউতে ভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে একসঙ্গে সমাজ ও দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারে।’

প্রধান অতিথি বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে সরস্বতী পূজা উদযাপনের প্রশংসা করেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘একটি সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য সব ধর্মকে সম্মান করার পাশাপাশি সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে, মানবিক ও জ্ঞাননির্ভর সমাজ গড়ে তুলতে হবে।’

অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, ‘নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি লালন করে। যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতিকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার্থীরা একটি পরিবারের মতো গড়ে উঠছে।’

সবশেষে সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে পূজার আয়োজন শেষ করা হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা।