ক্যামেরার ফ্ল্যাশে বিদ্যুৎ চমক!

সাহানা-অর্ণব।সাহানা বাজপেয়ী ও অর্ণবের ছেলেবেলা কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে। সহপাঠী হওয়ায় দুজনের গানের পথচলা প্রায় একসঙ্গে।

সাহানার গাওয়া গানের প্রথম ভিডিওতেও ছিলেন অর্ণব। গানটি ছিল রবি ঠাকুরের ‘আমার নিশীথ রাতের বাদল ধারা’। ভিডিওটি নির্মাণে ছিল মজার একটি ঘটনা। গানের কথার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গানের ভিডিওতে বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্য রাখার ফন্দি করা হয়। কিন্তু আকাশে বিজলি কই! অগত্যা ক্যামেরার ফ্ল্যাশ দিয়ে এ কাজটি চালিয়ে নিতে হয়েছিল তাদের। যে ভিডিওতে অন্ধকার রাতে গাইছিলেন সাহানা আর পাশে বসে গিটার বাজাচ্ছিলেন অর্ণব।

বর্তমানে লন্ডনে বসবাসরত সাহানা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে মজার এ তথ্যটি জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সেদিন বন্ধুরা মিলে এ কাজটি করেছিলাম। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ আমাকে তুলে এ আয়োজনের জন্য গান গাইতে বসিয়ে দেওয়া হয়। এটিই আমাদের প্রথম মিউজিক ভিডিও।’

সাহানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভিডিওটির নির্মাণ পরিকল্পনা ছিল শায়ানেরই (অর্ণব)। একটি হ্যান্ডিক্যামেরায় ভিডিওটি ধারণ করেছেন আমাদের আরেক বন্ধু শুভজিৎ রায়। আর ক্যামেরার সেই ফ্ল্যাশ মেরেছিল আরেক বন্ধু পৃথ্বিশ দাস। ২০০২ সালে শান্তিনিকেতনে এক বন্ধুর বাসার বারান্দায় বসে তৈরি হয় এটি। আসলে এটি আমাদের সবার জীবনের প্রথম মিউজিক ভিডিও। যা তৈরি করেছি শায়ানের এমএফএ পরীক্ষার ফাইনাল সাবমিশনের জন্য। মোটকথা এটি আমাদের সবার জন্য একটি সুখ-স্মৃতিময় ঘটনা।’

সাহানা আরও বলেন, ‘যে কথা সবচয়ে জরুরি তা হলো আমাদের অজান্তেই এই ভিডিও কীভাবে যেন ইউটিউবে আপলোড হয়ে যায়! অন্যরা যখন ইউটিউবে গানটি শুনে-দেখে আমাদের জানালো- তখন আমরা আকাশ থেকে পড়ি। কারণ, এটি ছিল শায়ানের কম্পিউটারে সংরক্ষিত।’
প্রসঙ্গত, দেশীয় সংগীতের অন্যতম সংগীত জুটি অর্ণব-সাহানা একটা সময় সংসারী হন। তবে সেটি অনেক আগেই বাঁক নেয় দু’দিকে।

ভিডিওটি দেখুন এই লিঙ্ক-এ:


/এমআই/এমএম/