চলচ্চিত্র আর সংগীতের সমন্বিত উৎসবের কারণে ইতোমধ্যে পূর্ব আফ্রিকার প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে তানজিনিয়ার জানজিবার ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। এবারের থিম ‘দিস জার্নি অব আওয়ার্স’।
উৎসবের ‘ফিচার ফিকশন’ বিভাগে প্রদর্শনের জন্য এটি অফিসিয়ালি মনোনিত হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন পরিচালক অং রাখাইন। উৎসবের ওয়েবসাইটেও মিলেছে এই তথ্য। উচ্ছ্বসিত অং বলেন, ‘সেন্সর কেন্দ্রিক অনেক বেদনার পরেও এটা খুবই আনন্দের খবর আমাদের জন্য। আমার খুব ইচ্ছে নিজেই সরাসরি উৎসবে অংশ নিতে। জানি না যেতে পারবো কিনা। কারণ যাওয়া আসার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়টাও জড়িত। তবে আমি যেতে পারি আর না পারি- ছবিটা তো প্রদর্শিত হচ্ছে। এটাই বড় সুখ। উৎসব সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
‘মাই বাইসাইকেল’-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কামাল মনি চাকমা, ইন্দ্রিরা চাকমা, ইউ চিং হলা রাখাইন, বিনাই কান্তি চাকমা, আনন্দ চাকমা, সুভাষ চাকমা, জোরাদান চাকমা। ছবির গল্প পরিচালকের নিজের। চিত্রনাট্য করেছেন নাসিফুল ওয়ালিদ। প্রযোজনা করেছেন মা নান খিং। ছবিটির পরিবেশক খনা টকিজ।
ছবিটির গল্প প্রসঙ্গে অং রাখাইন বলেন, ‘কামাল নামে একজন যুবক শহরে টিকতে না পেরে বাড়িতে ফিরে আসেন একটি বাইসাইকেল হাতে নিয়ে। যে সাইকেল দিয়ে একসময় এলাকায় মানুষসহ মালামাল পরিবহন শুরু করেন। আর তাতে তার সংসার ও ছেলের পড়ার খরচ চলতে থাকে। কিন্তু তার এই স্বচ্ছলতা অন্যদের সহ্য হয় না। তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন। এখান থেকেই শুরু হয়ে ছবির আসল গল্প। যা না দেখলে বলে বোঝানো সম্ভব না।’
ট্রেলার:
/এস/এমএম/
আরও পড়ুন:
# সেনাবাহিনীর আপত্তিতে আটকে গেল ‘মাই বাইসাইকেল’?
# গোটেবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মাই বাইসাইকেল’
# প্রথমবারের মতো পুরস্কার পাচ্ছে 'মাই বাইসাইকেল'
# নির্মাতা যখন মডেল