লোকার্নোতে বাংলাদেশের ৬ চলচ্চিত্র

পৃথিবীর চতুর্থ সম্মানজনক প্রতিযোগিতামূলক চলচ্চিত্র উৎসবের নাম লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভাল। কান, ভেনিস এবং বার্লিনের পরেই উচ্চারিত হয় লোকার্নো’র নাম। সুইজারল্যান্ডের এই রূপালি আসর এবার বসতে যাচ্ছে ৩ আগস্ট থেকে। চলবে টানা ১০ দিন, ১৩ আগস্ট পর্যন্ত।

লোকার্নো উৎসবে বাংলাদেশের ৬ চলচ্চিত্র।এবারের আসরে ‘ওপেন ডোরস স্ক্রিনিং’ বিভাগে প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের ছয়টি ছবি চূড়ান্ত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ফিচার ফিল্ম বিভাগে স্থান পেয়েছে যথাক্রমে কামার আহমাদ সাইমনের ‘শুনতে কি পাও’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ এবং রুবাইয়াত হোসেনের ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’। অন্যদিকে শর্ট ফিল্ম বিভাগে স্থান পেয়েছে ইশতিয়াক জিকোর ‘৭২০ ডিগ্রিজ’, মাহদী হাসানের ‘আই অ্যাম টাইম’ এবং আবু শাহেদ ইমনের ‘দ্য কনটেইনার’।

বাংলাদেশের এই ৬টি ছবি ছাড়াও উৎসবের ‘ওপেন ডোরস স্ক্রিনিং’ বিভাগে এবার প্রদর্শিত হচ্ছে নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের বেশ কটি ছবি। এবারের উৎসবে এই চারটি দেশের চলচ্চিত্রকে ফোকাস করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। যা লোকার্নোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে বুধবার (১৩ জুলাই)।

এদিকে নতুন দুটি ছবির জন্য ‘ওপেন ডোরস হাব'-এ এবারের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই নির্মাতা। ‘ডে আফটার টুমরো’র জন্য নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন ও ‘সিনেমা, সিটি অ্যান্ড ক্যাটস’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ইশতিয়াক জিকো। দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশ থেকে পাঠানো ছবি থেকে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। এ বিভাগে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার ও আফগানিস্তান থেকে একজন করে স্থান পেয়েছেন।

অন্যদিকে ‘ওপেন ডোরস ল্যাব’ প্রকল্পের কর্মশালায় সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন, আবু শাহেদ ইমন ও আদনান ইমতিয়াজ। তারা যথাক্রমে তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজ, বাতায়ন প্রডাকশন ও কিনো-আই ফিল্ম-এর জন্য কর্মশালায় সুযোগ পাচ্ছেন।

/এমএম/