মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তারা এ ধরনের কর্মসূচি দিয়েছে। বুধবারও একই ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা তাদের। আর এটির লক্ষ্য, আগামী ১৩ আগস্ট কলকাতার নজরুল মঞ্চে হতে যাওয়া ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’। যে মঞ্চে গাওয়ার কথা মাইলস ও ফসিলস-এর।
আর এতেই বাধ সেধেছেন ফসিলস ব্যান্ডের সদস্যরা। তাদের দাবি, মাইলসের দুই সদস্য ভারতবিদ্বেষী। হামিন আহমেদ এবং শাফিন আহমেদ অনবরত ভারত-বিরোধী ফেসবুক পোস্ট এবং মন্তব্য করছেন। তাই তাদের এই যাত্রায় রুখে দিতে হবে!
এক্ষেত্রে ফসিলস ব্যান্ডের গায়ক ও প্রধান রূপম ইসলামের বক্তব্য হলো এমন- ‘মাইলস’এর ভক্ত আমরা সকলে। কিন্তু তাদের এই গুণটা (ভারতবিদ্বেষ) যখন থেকে প্রকাশিত হয়েছে, তখন থেকে আর নয়। যে কোনও ছুতোয় ভারতকে গালি দেওয়াটা ওদের একটা বড় উদ্দেশ্য। কথায় কথায় ভারতকে টেনে এনে গালি দেওয়া। এই ধরনের মানুষ ভারতেই আবার অনুষ্ঠান করতে আসার স্বপ্ন দেখে কী করে? অনুষ্ঠান করতে হলে নিশ্চয়ই ভারতীয় হাইকমিশনে যেতে হয় ভিসা জোগাড় করতে। সেটা কীভাবে হয়? তার যৌক্তিকতা কী, সেটা বুঝতে পারছি না! আয়োজকরাও কী করে এই ধরনের ব্যান্ডকে স্বাধীনতা দিবসের কনসার্টের জন্য নির্বাচন করতে পারে, বুঝতে পারছি না! তা সত্ত্বেও আমরা প্রথমে অনুষ্ঠান করতে রাজি হয়েছিলাম। তার পরে যে এত মানুষের দাবি থাকবে আমরা অনুষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়াই, সেটা বুঝতে পারিনি। যখন বুঝতে পারলাম তারা চাইছেন না আমরা মাইলস এর সঙ্গে একই মঞ্চ শেয়ার করি, তখন সরে দাঁড়ালাম।’ বক্তব্যটি ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমে দিয়েছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাইলস এর বিরুদ্ধে ফসিলস তথা রূপমের এ অবস্থান কিন্তু নতুন নয়, বরং বেশ পুরোনো। মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০১৪তে বাংলাদেশ-ভারতের বিতর্কিত ম্যাচের তিক্ততাকে ঘিরে।
তখন মাইলসের সদস্য তুর্য ম্যাচটি নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তার বিপরীতে সে সময় রূপম দাবি করেছিলেন, তার স্ত্রীকে গালি দিয়েছেন মাইলসের সদস্যটি।
এ প্রেক্ষিতে রূপম তুর্য তথা বাংলাদেশের নাগরিকদের ‘নব্য পাকিস্তানি’ বলেন। রূপমের স্ত্রীর পক্ষ থেকেও কটু মন্তব্য চলে আসে তখন। তিনি মূলত গালি দিয়ে বসেন ফেসবুক দেয়ালে।
বিষয়টি এর আগে বাংলা ট্রিবিউনে রূপম ইসলামের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। তখন কথা বলেন মাইলসের শাফিন আহমেদ ও তুর্য। প্রত্যেকেই নিজেদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।
ঘটনাটা সেসময় মিটে গেলেও ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ কনসার্টকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা-কলকাতার সংগীত মঞ্চ।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। মাইলস ও ফসিলসের মধ্যে পার্থক্য আছে। আশা করি, সবাই সেটা বুঝবেন।’
এদিকে জানা গেল, ১৩ তারিখের এ কনসার্টে মাইলস ও ফসিলস কেউই থাকছে না। বিতর্ক এড়াতেই আয়োজকরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, গেল প্রায় দুই দশক ধরে কলকাতায় মাইলস ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা আকাশছুঁই।
/এম/এমএম/