বাংলাদেশ-ভারতের অন্যতম এই রক তারকার জন্ম ১৯৬৪ সালের এই দিনে নওগাঁয়। অথচ তার বেড়ে ওঠা এবং সংগীতে জড়িয়ে পড়ার পুরোটাই ঘটেছে পাহাড়কন্যা চট্টগ্রামে। আর তার বিকাশ ঘটেছে ঢাকায়। যদিও এখন তিনি আর সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই। বলিউড জয়ের পর এখন তিনি সর্বত্র এবং সবার হয়ে গেছেন।
জন্মদিনের পরিকল্পনা কিংবা প্রতিক্রিয়া কী? এই প্রশ্ন করাটা বরাবরই অপ্রাসঙ্গিক, নগর বাউলের জন্য। তবুও কথার কথা, জিজ্ঞাসা। চিরাচরিত নির্মোহ জবাব, ‘আমি আর কী করবো? বন্ধু-স্বজন-ভক্তরা শুভেচ্ছা জানাবে। ভালোবাসায় ভিজে ঘোরের মধ্যেই কেটে যাবে সারাদিন। এ নিয়ে আমার আলাদা কোনও পরিকল্পনা নেই।’
এদিকে নগর বাউল ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানান, আজ রবিবার বিকাল সাড়ে চারটা থেকে জেমস থাকবেন তার বারিধারাস্থ স্টুডিওতে। সেখানে আগত ভক্তদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন তিনি।
নগর বাউল ভক্তদের হয়তো জানা তবুও কথার কথা, জেমসের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের অমতেই সংগীতচর্চা শুরু করেন জেমস। একসময় তিনি সংগীতের জন্য ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। উঠেন চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং-এ। সেখানে থেকেই তার সংগীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু হয়।
এরপর ‘ফিলিংস’ ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড ‘দুষ্টু ছেলের দল’ এবং ‘বিজলি’ অ্যালবাম দুটির মধ্যেই আটকে যায়। এরপর একক অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশ করেন ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’ এবং সর্বশেষ ‘কাল যমুনা’।
এরপর গেল প্রায় দশ বছর জেমস কিংবা নগর বাউল-এর নতুন কোনও অ্যালবাম প্রকাশ পায়নি। কেন! ভাঙা রেকর্ডের মতোই জেমস বলে আসছেন শুরু থেকেই, ‘নতুন গান প্রকাশের পরিবেশ নেই। শো নিয়ে বেশ ব্যস্ত। ইত্যাদি।’