এখানে তেমনই এক ভূমিকা। যার সংক্ষেপ রূপ বাদি চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী। আর বিবাদি পক্ষের আইনজীবী চিত্রনায়ক চিত্রনায়ক আমান রেজা। অর্থাৎ বাপ্পির বিরুদ্ধে আদালতে অবস্থান নিয়েছেন আমান!
ঘটনাটি নতুন ছবি ‘আমি তোমার হতে চাই’-কে কেন্দ্র করে। ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকের বিরুদ্ধে গেল ১৪ নভেম্বর মামলা করেছেন নায়ক বাপ্পি। এতে তার কণ্ঠের ডাবিং অন্যকে দিয়ে করানো হয়েছে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন তিনি। ফলে ছবিটির ডাবিং বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এটির মুক্তিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
১২ জানুয়ারি মামলার শুনানির দিন ধার্য করে এরমধ্যে ছবিসংশ্লিষ্ট সব কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন আদালত। যার ফলে বিষয়টি বাপ্পির পক্ষে ঝুঁকে গিয়েছিল বলে মনে করছেন অনেক।
আগামী ১৬ ডিসেম্বরই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।
আর এর মাধ্যমে বাস্তবজীবনেই পক্ষে বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেছেন ঢালিউডের দুই উঠতি নায়ক। একজন স্বয়ং বাদি আর অপরজন বিবাদির পক্ষের উকিল।
অবশ্য আমানের ভাষ্য, ‘না, আমি তার বিপক্ষ কখনওই না। চলচ্চিত্রে আমরা সহকর্মী। আদালতে পেশার কারণে আমি এ কাজটি করছি। যেখানে আমার মক্কেল লাইভ টেকনোলজিস। আমি আমার মক্কেলের জন্য লড়েছি। তাই ব্যক্তিগত সম্পর্কে আমাদের কোনও ছেদ পড়বে না। আর রায়ের পর আমি কিন্তু আমার ফেসবুকে লিখেছি, দিনশেষে আমরা সবাই একটি পরিবারের সদস্য। আর তা হলো চলচ্চিত্র।’
বাপ্পির প্রতি আমানের বক্তব্য, ‘সে আমার সহকর্মী। সে যদি এখনও আমার কাছে আসে আমি তাকে আইনি পরমর্শই দেব। যতটুক সহযোগিতা করা যায়, তা আমি করব।’
কিন্তু বাপ্পি কী বলেন, ‘আমি আমার অধিকারের জন্য মামলাটি করেছিলাম। এখানে আমাকে বঞ্চিত করেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টরা। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা। মামলাটা আমার অধিকারের জন্য করা। কারও ওপর ব্যক্তিগত ক্ষোভ আগেও ছিলো না, এখনও নেই। আমান যা করেছেন সেটা আইনজীবী হিসেবেই করেছেন।’
আইন বিষয়ের ওপর লন্ডনে পড়াশোনা করা আমান বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করছেন এখন। বর্তমানে ব্যস্ত জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘প্রেমী ও প্রেমী’ নিয়ে। মূলত এ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকেই মামলাটিতে লড়েছেন তিনি।
২০০৮ সালে আমানের চলচ্চিত্রের যাত্রা। বাপ্পি ২০১২ সালে সিনেমা জগতে আসেন। দুজনই প্রায় একই সংখ্যক ছবিতে অভিনয় করেছেন। বাপ্পি ২৭টি ও আমানের সংখ্যা ৩০।
/এম/এমএম/