ফের দলবদ্ধ হলো ‘দলছুট’

বর্তমান ‘দলছুট’মিডিয়ার কেউ কেউ খানিক বেদনা নিয়ে অনুধাবন করলেও বিষয়টি অনেকেই জানতেন না। সঞ্জীব চৌধুরী-বাপ্পা মজুমদারের গড়া ‘দলছুট’ ব্যান্ডটি গেল চার বছর তার নামের মাহাত্ম রেখেছিল খুব নীরবে। ২০১২ কিংবা তারও আগে থেকেই ব্যান্ডটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল!

সঞ্জীব চৌধুরীর অকাল প্রস্থানের পর (১৯ নভেম্বর ২০০৭) থেকেই সংগীত প্রিয়দের অতি আবেগের এই ব্যান্ডটি যেন ছন্দ হারাচ্ছিল ক্রমশ। বাপ্পা মজুমদার নিজেও বহুবার চেষ্টা করেছেন দলটিকে ছন্দে ফেরাতে, কিন্তু পারছিলেন না। তাই বুঝি অনেকের অজান্তে ‘দলছুট’ থেকে তিনি নিজেও ছুটি নিলেন কোনও এক অভিমান বুকে চেপে।
নতুন-পুরাতন সদস্যদের নিয়ে গড়লেন ‘বাপ্পা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’। এই নিয়ে গেল চার বছর স্টেজ শো চালালেন। প্রকাশ করলেন লোকগানের অ্যালবাম ‘বেদনানন্দ’। তাকে কী! বাপ্পার মন তখনও উচাটন- অলিখিত স্থগিত দলছুটে’র কাছে।
তবে সংগীতপ্রিয়দের জন্য স্বস্তির খবর- আবারও সচল হচ্ছে ‘দলছুট’। চূড়ান্ত হয়েছে নতুন লাইনআপ। ভোকাল-গিটারে বাপ্পা মজুমদার, কিবোর্ডে সোহেল আজিজ, গিটারে মাসুম, বেজ গিটারে জন সার্টন, ড্রামসে ডানো শেখ এবং ম্যানেজার হিসেবে আছেন শাহান কবন্ধ।
‘দলছুট’কে ফের দলবদ্ধ করা প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘‘সঞ্জীব দা এবং দলছুট- এই দুটো নামের বাইরে নিজেকে ভাবতে পারিনি কখনও। প্রশ্ন আসবেই, এসেছেও অনেক- কেন তবে মাঝে এত বছর ‘দলছুট’কে স্থগিত রাখলাম? এর উত্তরও আমার কাছে ছিলো, কিন্তু নিরুত্তরই ছিলাম। কারণ, আমি উত্তর দিয়ে সময় নষ্ট করতে চাইনি। বরং দলছুটে’র জন্যই ‘বাপ্পা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নিয়ে ছুটেছি। এবং ‘দলছুট’ নিয়ে অনেকদূর একসঙ্গে চলার জন্য সদস্য চূড়ান্ত করেছি। আশা করছি আমরা আর দলছুট হবো না।’’

প্রসঙ্গত, ‘দলছুট’-এর শেষ অ্যালবাম ‘আয় আমন্ত্রণ’ প্রকাশ পায় ২০১১ সালে।     
সঞ্জীব চৌধুরীর আগে ও পরের ‘দলছুট’
/এমএম/