তার বিশ্লেষণী ক্ষমতায় গম্ভীরা সত্যিকার অর্থেই সমাজের জীবন্ত ছবি হয়ে উঠত। গম্ভীরা শিবের গাজন থেকে সরে এসে হয়ে ওঠে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সমসাময়িক সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিবিম্ব। সমাজের কথা ও রাষ্ট্রের কথা বলতে গেলে সততা ও সাহসের দরকার। গঠনমূলক সমালোচনা করতে গেলে দরকার বলিষ্ঠ মানসিক শক্তি। এসবের সংমিশ্রণ ছিল শিল্পী কুতুবুল আলমের পরিবেশনায়।
আদি গম্ভীরা দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাকিল রায়হান জানান, কুতুবুল আলমকে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তাই তিনি তার রাষ্ট্রীয় কাজের বিচ্যুতি ও সমাধান নিয়ে তাকে গম্ভীরা পরিবেশনের জন্য বলতেন। তৎকালীন সময়ের অন্যতম সমস্যাগুলি নিয়ে তিনি আটটি ডকুমেন্টারিও তৈরি করেছিলেন।
এই গুণী শিল্পী ১৯৯৯ সালের এই দিনে (১৪ ডিসেম্বর) না ফেরার দেশে চলে যান। তার প্রয়াণ দিবসে আদি গম্ভীরা দল দোয়া ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
/এমএম/