বিজ্ঞাপনে নতুন পার্থ, সঙ্গে সাকিব

পার্থ বড়ুয়া ও সাকিব আল হাসান‘আয়নাবাজি’র উত্তাপ এখনও কমেনি। পাকা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনবদ্য অভিনয় করেছেন সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া। ওপেন এয়ার কনসার্টের এই ভরা মৌসুমে গিটার হাতেও সেই উষ্ণতা ভালোই উপভোগ করছেন তিনি।

বিজয় দিবসের আগেই এবার সেই অভিনয় উষ্ণতায় নতুন তাপমাত্রা যোগ হয়েছে পার্থর ক্যারিয়ারে! দুদিন হলো দেশের সব ক’টি টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে একটি মুঠোফোনের বিজ্ঞাপন। যেখানে প্রধান মডেল হিসেবে দেখা যাচ্ছে বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। এক মিনিট ব্যপ্তির এই বিজ্ঞাপনে আছেন পার্থ বড়ুয়াও! তাও আবার ‘আয়নাবাজি’র মতোই- প্রধান চরিত্রের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে।
বিজ্ঞাপনটি ঝটপট দেখে নিন এখান থেকে:

এটাও ঠিক, দৃষ্টিনন্দন এই বিজ্ঞাপনটি দেখার পর সাদা চোখে পাঠক-দর্শকদের জন্য খানিক বিভ্রান্তিকর মনে হবে। সবাই সাকিব আল হাসানকে খুঁজে পাবেন। সমস্বরে প্রশ্ন উঠবে- এতে পার্থ বড়ুয়া কই? আছেন তো! একটু খেয়াল করুন- আবিষ্কার করতে পারবেন নতুন পার্থ বড়ুয়াকে। যেমনটা ঘটেনি আগে কখনও।
‘সবারই দুটি জীবন থাকে। একটি যা সবাই দেখে। অন্যটি একান্ত আপন...’- সাকিব আল হাসানকে নিয়ে লেখা বিজ্ঞাপনের ভয়েজ ওভারে বাজতে থাকা এমন আবেগি কথাগুলো ফুটেছে পার্থ বড়ুয়ার কণ্ঠেই। যেটাকে এই বিজ্ঞাপনের মূল প্রাণ বলেই মনে করছেন এর নির্মাতা গোলাম হায়দার কিসলু।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণের পর আমরা এমন একজন মানুষকে খুঁজছিলাম, যে মানুষটি কোথাও কখনও ভয়েজ ওভার দেয়নি। কিন্তু পাচ্ছিলাম না। পরে আমাদের ক্রিয়েটিভ হেড রাজিব হাসান চৌধুরী বললেন পার্থ দার কথা। দাদাকে জানালাম। তিনি বিষয়টি শুনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেন। বললেন, এই কাজ তিনি জীবনেও করেনি! আমরাও বললাম- এমন কণ্ঠই খুঁজছি আমরা। এরপর অনেক দ্বিধা নিয়ে দাদা আমাদের স্ক্রিপ্ট ধরে কণ্ঠ দিলেন। এরপর দেখলাম কণ্ঠটি প্রপারলি পড়ার পর আমাদের টিভিসির গ্র্যাভিটি বেড়ে গেল। পার্থ দা তো বটেই আমরা নিজেরাও সারপ্রাইজড।’
গাইছেন পার্থ বড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীতএদিকে নিজের প্রথম ভয়েজ ওভার প্রসঙ্গে পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘দুদিন হলো বিজ্ঞাপনটি অন এয়ার হচ্ছে। ইউটিউবেও পাওয়া যাচ্ছে। অথচ এখনও আমি এটি কোথাও প্রকাশ করিনি। শুধু চুপি চুপি বিজ্ঞাপনটি দেখছি আর শুনছি! এটা অন্যরকম মজার অভিজ্ঞতা। প্রথম করলাম। ভালোই লাগছে। অনেকেই কণ্ঠটি শুনে কনফিউজড হচ্ছেন। আমাকে দুই একজন বলেছেন- দাদা কণ্ঠটা কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে! আমিও রহস্যের হাসি দিয়ে বলছি- হুম, আমারও চেনা চেনা লাগছে। হবে হয়তো কেউ!’
/এস/এমএম/