শিল্পকলা টু মগবাজার: উৎসবমুখর অভিনয়শিল্পীরা

অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্যদের একাংশনতুন বছরের প্রথম থেকেই উৎসবের আমেজ চলছে অভিনয়শিল্পীদের মাঝে। মেলবন্ধন ঘটছে সিনিয়র-জুনিয়ার শিল্পীদের মধ্যে। শুটিং ইউনিটের বাইরে যেমনটা ঘটে না সচরাচর।
সর্বস্তরের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে এই মিলনমেলার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র নির্বাচন। যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গেল এক সপ্তাহে মাঠে নেমেছেন অভিনয়শিল্পীরা। বেশিরভাগ শিল্পী এই নির্বাচনকে ঘিরে বাতিল করেছেন শুটিং সিডিউল। আর যারা শুটিং করছেন, তারাও বিকাল নাগাদ হাজির হচ্ছেন নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে। সেখানে নির্বাচনি হিসাব-নিকাশ পেরিয়ে সন্ধ্যার পর একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাতে-ভোট চাইতে কিংবা পুরনো বন্ধু-সতীর্থদের সঙ্গে আড্ডা দিতে হাজির হচ্ছেন মগবাজার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে। তাই শিল্পকলা টু মগবাজার- অভিনয়শিল্পীদের এখন নিয়মিত রাস্তায় পরিণত হয়েছে।
‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। অনেক দিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর মাস তিনেক আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় এই সংঘের। গত বছরের শেষ দিকে একটি সাধারণ সভার মাধ্যমে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটিতে আরও ছিলেন তুষার খান, আহসানুল হক মিনু, শিরিন বকুল, শামস্ সুমন, রোকেয়া প্রাচী, আহসান হাবীব নাসিম, রওনক হাসান ও সিদ্দিকুর রহমান। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি সংগঠনের নতুন কমিটির নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। পরে সেটা পিছিয়ে গিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত করা হয়।
সংঘের এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন ৪ জন। তারা হলেন- শহীদুজ্জামান সেলিম, শহিদুল আলম সাচ্চু, ডি এ তায়েব এবং গোলাম মোস্তফা। এছাড়াও বিভিন্ন পদের জন্য লড়াই করছেন আরও ৪৬ অভিনয়শিল্পী। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, তারিন, তানভিন সুইটি, ইকবাল বাবু, জাহিদ হোসেন শোভন, রফিকুল্লাহ সেলিম, শামস্ সুমন, আহসান হাবীব নাসিম, বন্যা মির্জা, আনিসুর রহমান মিলন, তানিয়া আহমেদ, মীর সাব্বির, জয়, হিল্লোল, রওনক হাসান, নওশীন, মম, সিদ্দিকুর রহমানসহ অনেকেই।
এরমধ্যে একমাত্র পদ অর্থ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী-নির্মাতা-উপস্থাপক তানিয়া আহমেদ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি পদপ্রার্থী শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘শিল্পীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। কারণ বিগত দিনে এই ঐক্যের মধ্যে ঘাটতি ছিল। আমি নির্বাচিত হলে এবার সেই ঐক্যের দৃঢ় করার চেষ্টাটা করবো। আমি চাইব, সব শিল্পীর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করতে। চেষ্টা করবো, অভিনয় ওয়ার্কশপ তৈরির। আমার স্লোগান— বিভাজন নয়, গতিশীলতা।’
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের অন্যতম আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘প্রথমে একটা আনন্দময় সুন্দর স্বচ্ছ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। এবং সেটাই হবে- আমি বিশ্বাস করি। আর নির্বাচিত হলে আমি চেষ্টা করবো সব অভিনয়শিল্পীদের এক ছাতার নিচে আনতে। আমরা যেন যেকোনও সুন্দর কাজে একত্রে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারি, সেই জায়গাটা দরকার এখন।’
এদিকে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র চূড়ান্ত প্রার্থী পরিচিতি সভা। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি দিনভর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৩ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
/এস/এম/