ভালোবাসার গানে উৎসবের সমাপ্তি

এস এস ক্লাব অব ইউল্যাবের সদস্যরা/ ছবি: সাজ্জাদউৎসবমুখর পরিবেশে ধানমন্ডিস্থ মীনা হাউজে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হলো তিন দিনব্যাপী সংগীত উৎসব।
মীনা ট্রাস্টের উদ্যোগে উচ্চাঙ্গসংগীত, বসন্ত এবং ভালবাসার গান দিয়ে সাজানো এ আয়োজনে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পীবৃন্দ। যেখানে গানের পাশাপাশি সম্মাননা প্রদান করা হয় বেহালা বাদক ফারুক ওয়াহিদ এবং রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদকে।
ফারুক ওয়াহিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন আমিনা আহমেদ/ ছবি: সাজ্জাদউৎসবের শুরু হয় ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) উচ্চাঙ্গসংগীতের মনমুগ্ধকর আসর দিয়ে। ‘রাগের বাহারে’ শীর্ষক এই আয়োজনে বিশিষ্ট বেহালা বাদক ফারুক ওয়াহিদকে সম্মাননা প্রদানের বাইরেও মিন্টু কৃষ্ণ পালের নেতৃত্বে সংগীত পরিবেশন করেন এসএস ক্লাব অব ইউল্যাবের সদস্যরা। এদিন তবলা পরিবেশন করেন দিলীপ কুমার চক্রবর্তী, এস্রাজ পরিবেশন করেন অশোক কুমার সরকার এবং বেহালা বাজিয়ে মুগ্ধতা ছড়ান ফারুক ওয়াহিদ।
ফারুক ওয়াহিদের পরিবেশনা/ ছবি: সাজ্জাদউৎসবের ২য় দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যায় মীনা হাউজে বিভিন্ন শিল্পীরা বসন্তের গান পরিবেশন করেন। এরমধ্যে অন্যতম চমক ছিলো আমিনা আহমেদের কণ্ঠে গান। একই মঞ্চে আরও গান পরিবেশন করেন প্রমোদ দত্ত, মিলিয়া আলী, সীমা সরকার, ফেরদৌসী কাকলী, রমা বাড়ৈ, জয়ন্ত আচার্য্য, আশিকুর রহমান, অনিমেষ, টিপু চৌধুরী এবং বাঁশি বাজিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেন শৈবাল।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে কাজী শাহেদ আহমেদ ও আমিনা আহমেদ দম্পতি/ ছবি: সাজ্জাদবসন্তের এই উৎসব সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসংগীতে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয় সাদি মহম্মদকে।  
সাদি মহম্মদকে সম্মাননা জানাচ্ছেন আমিনা আহমেদ/ ছবি: সাজ্জাদউৎসবের শেষ দিনে (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ভালোবাসার বিভিন্ন গান পরিবেশনার মাধ্যমে উপস্থিত শ্রোতাদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়ান শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে দ্বৈত ও এককভাবে সংগীত পরিবেশন করেন আমিনা আহমেদ, মামুন জাহিদ খান, পীযুষ বড়ুয়া, জাকির হোসেন তপন, তানভীরা আশরাফ শ্যামা, শিশির সিকদার, আঁখি বৈদ্য, গোলাম হায়দার, তানজিনা তমা, রুবা মজুমদার, মিতা সুপর্ণা ও শর্মিলা চক্রবর্তী।
আমিনা আহমেদ ও সাদি মহম্মদের যৌথ পরিবেশনা/ ছবি: সাজ্জাদঅনুষ্ঠানের শেষাংশে শচীন দেব বর্মণের জনপ্রিয় গান ‘নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে’ গানের সঙ্গে আনন্দে নেচে ওঠেন উপস্থিত শিল্পী-শ্রোতারা।
তিন দিনের এই ভিন্ন ধারার সংগীত উৎসব প্রসঙ্গে জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আমিনা আহমেদ বলেন, ‘এখন থেকে প্রত্যেক বছরই আমরা এ ধরনের উৎসব আয়োজনের চিন্তা ভাবনা করছি। কারণ, ঘরে ঘরে এমন সংগীতের চর্চা এবং উৎসব আমাদের জীবনকে আরও প্রাণবন্ত এবং সংস্কৃতিপ্রাণ করে গড়ে তুলবে।’
উৎসবের শেষ দিনের আয়োজনে গানের সঙ্গে অতিথি ও শিল্পীদের নাচ/আইএস/এমএম/