বার্লিন উৎসবে স্বর্ণভল্লুক জিতলো হাঙ্গেরির ছবি

`অন বডি অ্যান্ড সৌল-এর কলকুশলীলাজয় হলো প্রেমের। বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৬৭তম আসরে স্বর্ণভল্লুক (গোল্ডেন বিয়ার) জিতলো হাঙ্গেরির প্রেমের ছবি 'অন বডি অ্যান্ড সৌল'। এটাই উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার। বুদাপেস্টের দুই চাকুরিজীবীর মধ্যকার ভালোবাসার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ছবিটি। বয়সের বিস্তর ব্যবধান থাকলেও তাদের নিঃসঙ্গ দুটি মন বাঁধা পড়ে একে অপরের প্রেমের মায়াজালে।
'অন বডি অ্যান্ড সৌল'ই ছিল উৎসবের সমাপনী চলচ্চিত্র। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এটি প্রদর্শনের পরই পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বর্ণভল্লুকের জন্য লড়েছে মোট ১৮টি ছবি। এ বিভাগে সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বর্ষীয়ান ডাচ নির্মাতা পল ভারহোভেন। তিনি বলেছেন, 'আমরা বিচারকরা এ ছবির প্রেমে পড়েছি কারণ এটি মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছে দৈনন্দিন জীবনে ভুলে থাকা আবেগ-অনুভূতি।'

‘অন বডি অ্যান্ড সৌল’ ছবিটি নিয়ে। এটি পরিচালনা করেছেন হাঙ্গেরির নারী নির্মাতা ইলদিকো এনইয়েদি। এটি তার ৮ নম্বর ছবি। ১৯৮৯ সালে ইলদিকোর প্রথম ছবি ‘মাই টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন ক্যামেরা অ্যাওয়ার্ড জেতে।ইলদিকো এনইয়েদি

সেরা অভিনেতা হিসেবে রৌপ্যভল্লুক পেয়েছেন অস্ট্রিয়ার জিওর্গ ফ্রাইডরিচ। জার্মান-নরওয়েজিয়ান বাবা-ছেলের গল্প নিয়ে নির্মিত 'ব্রাইট নাইটস' ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এই সম্মান পেলেন তিনি।

'অন দ্য বিচ অ্যাট নাইট অ্যালোন' ছবিতে দারুণ অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর রৌপ্যভল্লুক পুরস্কার উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম মিন-হি'র হাতে।

গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে ফ্রান্স-সেনেগাল-বেলজিয়ামের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত 'ফেলিসিট'। এর গল্প কিনশাসায় রাতের বারে গায়িকা হিসেবে কাজ করা এক নারীকে ঘিরে। দর্শক-শ্রোতার জীবন আলোকিত হয়ে যায় তার কারিশমার সুবাদে।

ফিনল্যান্ডের আকি কাউরিসমাকি 'দ্য আদার সাইড অব হোপ' ছবির জন্য সেরা পরিচালকের রৌপ্যভল্লুক জিতেছেন। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের স্বর্ণভল্লুক জিতেছে পর্তুগালের 'স্মল টাউন'।

উৎসবে জুরিরা এবার যুক্ত করেছেন নতুন বিভাগ মৌলিক চিত্রনাট্য। এ পুরস্কারটি পেয়েছে ইসরায়েলি আইন ব্যবস্থা নিয়ে ফিলিস্তিনি পরিচালক রায়েদ আন্দোনির ছবি 'গোস্ট হান্টিং'।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফরাসি ছবি 'জ্যাঙ্গো' প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে এবারের বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা ওঠে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উৎসবের বিভিন্ন বিভাগে মোট ৪০৩টি ছবির প্রদর্শনী হয়েছে। আয়োজকদের আমন্ত্রণসহ দশদিনের এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন পাঁচ লাখ শিল্পী, কলাকুশলী ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন ছবির প্রদর্শনীর টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ।উৎসব বিজয়ীরা

/জেএইচ/এম/