‘তা জানি না’ গানের গল্প বললেন মিনার

মিনার
৩ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে মিনার রহমানের গানের ভিডিও ‌‘তা জানি না’। গায়কের ‘ঝুম’ সাফল্যের পর নতুন গানটিও বেশ প্রশংসা পাচ্ছে। নতুন গানটির কথা, সুর ও কণ্ঠ তার নিজেরই। সাজিদ সরকারের সংগীতায়োজনে এর নান্দনিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন তানিম রহমান অংশু। এতে মিনার ছাড়াও মডেল হিসেবে দেখা গেছে বনি ও হৃদি শেখকে। এদিকে, রবিবার গানটির পেছনের গল্প জানালেন এ সংগীতশিল্পী। বাংলা ট্রিবিউনকে গানটি তৈরির ভাবনার কথা প্রকাশ করেন তিনি। তার সে ভাবনাটা হুবহু তুলে ধরা হলো-

‌‘একটা বিশাল জেনারেশন একটা সময়ের বদলে যাওয়াগুলোকে দেখেছেন। সরাসরি অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। শৈশবে তারা ল্যান্ডফোনের দিনগুলো দেখেছেন। চিঠি লিখেছেন বাবা-চাচাকে, আত্মীয়, স্বজন, বন্ধু- বান্ধবদের। তারপর আরেকটু বড় হয়ে এন্টেনাওলা মোবাইলের ১৫ টাকা কলরেটের দিনগুলোকেও তারা দেখেছেন। অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন। এই একই জেনারেশনটাই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। ফেসবুক, হোয়াটসআপ, ভাইবার, মেসেঞ্জার আরও কত কী! এই একই জেনারেশনটাই বইয়ের পাতা উল্টিয়ে নতুন বইয়ের গন্ধে বিমোহিত হয়ে নিজেদের কল্পনার সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন। আবার এখন অনেকেই কিনডেলে বই পড়ছেন। আরও অনেক কিছু নিয়ে সময়ের এই বদলে যাওয়াটা এই বিশাল জেনারেশনটাই দেখেছেন।
তাদের আগের জেনারেশনও ওভাবে সময়ের এই বদলে যাওয়াকে দেখেননি। এবং এই বদলে যাওয়া সময়টাকে দেখবে না একদম সদ্য নতুন প্রজন্ম।
বদলে যাওয়া এই সময়গুলোর, এই চেঞ্জগুলোর একমাত্র সাক্ষী ওই একটা বিশাল জেনারেশনই।
আশেপাশে তাদের অনেক কিছু, অনেক অপশন। তারা চাইলেই ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারেন। আবার চাইলেই যেকোনও সময় দূরদেশে থাকা বন্ধুকে হোয়াটসাঅ্যাপে ফোন দিতে পারেন। চাইলেই প্রিয় মানুষটাকে চিঠি লিখতে পারে অথবা মেসেঞ্জারেই বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন। চাইলেই ক্যাসেট প্লেয়ার, সিডি প্লেয়ারে গান শুনতে পারেন অথবা নিজের স্মার্টফোনে মুহূর্তেই নামিয়ে নিতে পারেন মিউজিক অ্যাপ। চাইলেই ভিসিয়ার, ভিসিডির দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারেন আর না হলে ইউটিউব তো আছেই! কারণ তারা এই সবকিছুরই অভিজ্ঞতার সাক্ষী।
হাঁ, একদিকে তারা প্রচণ্ড ভাগ্যবান জেনারেশন। কারণ তারা পৃথিবীর বদলে যাওয়ার সাক্ষী।
অন্যদিকে হয়তো এই কারণেই, এই বিশাল জেনারেশনের তারা, অনুভূতির দিক থেকে একটি দ্বিধার যাত্রা পার করছেন। ফেসবুক নিউজ ফিড স্ক্রল ডাউন করেই যাচ্ছেন, বুঝতে পারছেন না কোথায় গিয়ে থামবেন। টিভিতে চ্যানেল বদলেই যাচ্ছেন, বুঝতে পারছেন না কী দেখবেন! হয়তো জীবনের মুহূর্তগুলো তারা অনুধাবন করছেন কিন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না।
তাদের মন বলে, তারা বলতে পারেন না।
তারা চোখ বন্ধ করে রাখেন, কিন্ত ঘুম আসে না।
তারা ভালোবাসতে চান কিন্ত কেন তবু ভুল করেও তারা ভালোবাসেন না, তারা তা জানেন না...’

তা জানি না:

/এম/