কানের শুরু ও শেষ আয়োজনের উপস্থাপককে বলা হয় ‘মাস্টার অব সেরিমনিস’। কিন্তু এবার একজন নারীকে দায়িত্বটি দেওয়া হলো। তাই মনিকাকে ডাকা হচ্ছে ‘মিস্ট্রেস অব সেরিমনিস’। সবশেষ ২০০৩ সালে এ দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছিলেন তিনি।
ফ্রান্সের সাগরপাড়ের শহর কানে জমকালো উৎসবটি শুরু হবে আগামী ১৭ মে। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের প্রধান পেড্রো আলমোডোভার ও তার নেতৃত্বাধীন জুরিদের মঞ্চে স্বাগত জানাবেন মনিকা বেলুচ্চি।
গত বছর এ দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ফরাসি অভিনেতা লঁরা লফে। তার আগে ৬৭তম ও ৬৮তম আসরের ‘মাস্টার অব সিরিমনিস’ ছিলেন ল্যাম্বার্ট উইলসন।
কানের ৬৬তম আসরটি উপস্থাপনা করেন ফরাসি অভিনেত্রী অড্রে ততু। তার আগের তিন বছর উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ক্রিস্টিন স্কট থমাস, ফরাসি অভিনেত্রী বেরেনিস বেজো ও মেলানি লঁরা।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে মনিকা বেলুচ্চির সখ্য বহু বছরের। ২০০০ সালে স্টিফেন হপকিন্সের ‘আন্ডার সাসপিশান’ ছবির সুবাদে প্রথমবার কানের সিঁড়িতে পা রাখেন তিনি। এটি প্রদর্শিত হয় প্রতিযোগিতা বিভাগের বাইরে। এর দুই বছর পর আবার দক্ষিণ ফ্রান্সের শহরটিতে আসেন ইতালিয়ান এই রূপবতী। ২০০২ সালে তার অভিনীত গ্যাসপার নো’র ‘ইরেভারসিবল’ কানের প্রতিযোগিতা বিভাগে ব্যাপক আলোচিত ও বিতর্কিত হয়।
২০০৬ সালে হংকংয়ের নির্মাতা ওঙ কার-ওয়াইয়ের নেতৃত্বে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের প্যানেলে ছিলেন মনিকা বেলুচ্চি। এর দুই বছর পর উৎসবে নির্বাচিত হয় তার অভিনীত মার্কো তুলিও গিওরদানার ‘ওয়াইল্ড ব্লাড’ এবং মেরিনা ডি ভ্যানের ‘ডোন্ট লুক ব্যাক’। ২০১৪ সালে মনিকার ‘ওয়ান্ডারস’ ছবির জন্য গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার পান ইতালিয়ান নারী নির্মাতা অ্যালিস রোরওয়াচার।
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে কমেডি থেকে ড্রামা, সব ঘরানার ছবিতে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন মনিকা বেলুচ্চি। এগুলোর মাধ্যমে গল্প বাছাইয়ে তার সাহসী শিল্পমানের পরিচয় মিলেছে। বার্ট্রান্ড ব্লিয়ার, ড্যানিয়েল থম্পসন, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, টেরি গিলিয়াম, মেল গিবসন, স্যাম মেন্ডেস, স্পাইক লি’র মতো মর্যাদাসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করে সমৃদ্ধ হয়েছেন ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। তার বিখ্যাত ছবির তালিকায় ‘ম্যালেনা’ অন্যতম।
/জেএইচ/এমএম/