শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন

লাকী আখান্দকোথায় সমাহিত করা হবে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দকে? রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে না? আজিমপুর না হয়ে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান নয় কেন?
এমন অসংখ্য প্রশ্নের সঠিক কোনও জবাব ছিলো না লাকী আখন্দের পরিবারের সদস্যদের কাছে। শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত এই নিয়ে দ্বিধা এবং অস্বস্তি ছিল। জানানো হলো, রাষ্ট্র কোনও কিছু না জানালে আরমানিটোলা মাঠে সকাল ১১টায় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে লাকী আখন্দের মরদেহ।
তবে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শুক্রবার রাত সোয়া ৯টা নাগাদ পরিবারকে জানান, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার মধ্য দিয়ে লাকী আখন্দকে শেষ বিদায় জানানোর বিষয়টি।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাংলা ট্রিবিউনকে এরশাদুল হক টিংকু জানান, মেয়র এবং মন্ত্রীর পক্ষ থেকে পরিবারকে জানানো হয়েছে, লাকী আখন্দের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরমানিটোলা মাঠে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জন্য রাখা হবে শহীদ মিনার চত্বরে। জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানেই লাকী আখন্দকে শেষ বিদায় জানানো হবে।   
আরমানিটোলার বাসার নিচে প্রেস ব্রিফিংয়ে টিংকুপ্রসঙ্গত, টানা আড়াই মাস হাসপাতাল জীবন শেষে গত সপ্তাহে আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরেছিলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ। ২১ এপ্রিল দুপুর নাগাদ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সন্ধ্যার আগে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কর্তব্যরত চিকিৎসক লাকী আখন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬১ বছর।
/এমএম/জেএইচ/